রাজনীতি ও ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সাংবাদিকদের খুনের মামলায় জড়ানোয় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অবিচল ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।
সংগঠনটি এ ধরনের মামলা থেকে সাংবাদিকদের অবিলম্বে অব্যাহতির অনুরোধ জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার প্রতি।
আজ শুক্রবার (৩০ আগস্ট ২০২৪) এক বিবৃতিতে ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন উদ্বেগ প্রকাশ করে সরকারের প্রতি এ অনুরোধ জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সূত্র ধরে গত ৫ আগস্ট রাজনীতি ও ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর পেশাদার সাংবাদিকদের একের পর এক খুনের মামলায় জড়ানো হচ্ছে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পঞ্চাশোর্ধ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা হয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ সাংবাদিকতার পাশাপাশি বিভিন্ন সাংবাদিক ইউনিয়ন ও প্রেস ক্লাবের নেতৃত্বে রয়েছেন।
এই ব্যক্তিরা সাংবাদিকতার মাধ্যমে একদিকে জনগণের তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করছেন, অন্যদিকে সাংবাদিক সমাজের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে একের পর এক হত্যা মামলা দেয়া শুভ কোন ইঙ্গিত বহন করে না।
বিবৃতিতে ডিইউজে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে মামলা হতেই পারে। কিন্তু বিগত সরকারকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতার অভিযোগ দিয়ে খুনের মামলায় জড়িয়ে দেয়া সমীচীন নয়। এসব মামলায় গ্রেফতারের পর আদালত প্রাঙ্গণে হেনস্তা ও নির্যাতনের যে ঘটনা লক্ষ্য করা গেছে, তাও কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাই, এ ধরনের ন্যক্কারজনক হামলা ও নির্যাতনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুর্বৃত্তদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা উচিত।
নেতৃদ্বয় বিবৃতিতে বলেন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে খুনের মামলা দেয়ার ঘটনা একদিকে পুরো সাংবাদিক সমাজকে আতঙ্কিত করে তুলছে, অন্যদিকে জনগণের মনেও ভীতি ছড়িয়ে দিচ্ছে। যা বৈষম্যমুক্ত রাষ্ট্র ও সমাজ গঠনের কমিটমেন্টের ক্ষেত্রে অন্তরায় সৃষ্টি করতে পারে। তাই, সাংবাদিক ও সাংবাদিক নেতাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করার আহ্বান জানানো হলো।
Discussion about this post