নিজস্ব প্রতিবেদক
শুল্কমুক্ত সুবিধায় সাবেক সংসদ সদস্যদের নামে আমদানি করা ৫২টি বিলাসবহুল গাড়ি আটকে দিয়েছিল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের উত্তপ্ত পরিস্থিতি টের পাওয়ায় সাকিব আল হাসান ও নায়ক ফেরদৌসসহ সাত সাবেক এমপি তাদের গাড়ি ছাড়িয়ে নেন। চট্টগ্রাম বন্দর ও মোংলা বন্দর দিয়ে এসব গাড়ি আমদানি করা হয়।
কিন্তু সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলেও গাড়ি খালাস করতে পারেনি সাবেক সংসদ সদস্য জান্নাত আর হেনরী এবং মুজিবুর রহমান মঞ্জু। এ ছাড়া অনুপম শাহজাহান জয় ও এবিএম আনিসুজ্জামান নামে আরও দুই সাবেক এমপি গাড়ি ছাড় করাতে নথিপত্র জমা দিয়েছিলেন। এই চারটি গাড়িও এখন কাস্টমসের জিম্মায়।
জানা গেছে, গাড়িগুলোর মধ্যে টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার, টয়োটা জিপ, টয়োটা এলসি স্টেশন ওয়াগট মডেলের ৩ থেকে ৪ হাজার সিসির গাড়ি রয়েছে। এসব গাড়ির বেশিরভাগই এসেছে জাপান ও সিঙ্গাপুর থেকে।
এদিকে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। যার ফলে শুল্কমুক্ত সুবিধাও বাতিল হয়েছে। তবে কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন, শুল্কমুক্ত সুবিধা বাতিল হওয়ায় এসব গাড়ি খালাস করতে হলে সিসি ভেদে ৮১০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক পরিশোধ করতে হতে পারে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের উপ কমিশনার সাইদুল ইসলাম বলেন, যেহেতু সংসদটা ভেঙে গেছে। এখন শুল্কমুক্ত সুবিধা তারা পাবেন কি না, সে বিষয়ে সরকারের দিকনির্দেশনার জন্য চট্টগ্রাম কাস্টমের পক্ষ থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে চিঠি দিয়েছি। সেই চিঠির জবাবে যে নির্দেশনা দেওয়া হবে, সে আলোকে আমরা পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করব।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, কাস্টমস কর্তৃক ডিউটি পেমেন্ট করার পরেই আমরা চার্জটা নিই এবং ডেলিভারি করি। কেউ যদি ডেলিভারি নিতে না আসে তাহলে ৩০ দিন পর নিলামের জন্য হস্তান্তর করে দিই।
Discussion about this post