নিজস্ব প্রতিবেদক
সার্বিক পরিস্থিতি, দেশ সংস্কার এবং আগামী নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করতে শনিবার বিকেলে বসছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের দায়িত্ব নিলে প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির পক্ষ থেকে স্বাগত জানানো হয়। তবে গত ২৪ আগস্ট থেকে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচন প্রশ্নে ‘অতি দ্রুত’ সংলাপের দাবি জানাচ্ছিলেন। মূলত এই দাবির প্রেক্ষিতেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকেল ৩টায় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় শুরু হবে এ মতবিনিময় সভা। যা রাত ৮টা পর্যন্ত চলার কথা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি, সংস্কার এবং আগামী নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের আলোচনা হবে। তবে আগের বৈঠকের মতো এই বৈঠকেও আওয়ামী লীগসহ তাদের জোটের কোনো দল থাকবে না বলে জানা গেছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির তিন নেতার সঙ্গে সোয়া এক ঘণ্টা বৈঠক করেন ড. ইউনূস। এ সময় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধান উপদেষ্টা আলোচনার জন্য ডেকেছিলেন। আমাদের প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা আলোচনা হয়েছে। অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
নির্বাচনের কোনো সম্ভাব্য তারিখ নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা কোনো তারিখ নিয়ে আলোচনা করিনি। আমরা কোনো তারিখ বলব না। এটা উনারা (অন্তর্বর্তী সরকার) বলবেন।
বৃহস্পতিবার পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার প্রক্রিয়া চালু রাখব, তাদের কাছ থেকে সংস্কার প্রস্তাব যা আসবে সেগুলো গ্রহণ করব। সে ব্যাপারে একটা পদ্ধতির বিষয়ে কথা হয়েছে।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) উপদেষ্টা দপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা সব রাজনৈতিক দলকেই মতবিনিময়ে চাইছি। মতবিনিময়ে আগ্রহীরা সবাই আসবে। দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করলে বুঝতে পারবেন।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের তিন দিন পর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বর্তমানে দেশে ৪৫টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে। এর বাইরে আলোচিত জামায়াতে ইসলামীসহ অনেক দলই ও মোর্চা নিবন্ধনের বাইরে থেকেই রাজনীতির মাঠে সক্রিয় রয়েছে।
Discussion about this post