লাইফস্টাইল ডেস্ক
সারাদিনের ক্লান্তি শেষে তেল মালিশ করলে মন আর শরীর দুটোই চাঙ্গা হয়ে ওঠে। শরীরের কোন অংশে তেল মালিশ করেছেন তার ওপর নির্ভর করবে উপকারিতা কী হবে। আয়ুর্বেদ মতে, নাভিতে তেল মালিশের নানা উপকারিতা আছে। শাস্ত্র অনুযায়ী এটি দেহের এমন একটি স্থান যেখানে সব শক্তি সঞ্চিত থাকে।
নাভিতে তেল মালিশ করলে কী কী উপকার মেলে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
হজমশক্তি ভালো হয়
নাভিতে তেল মালিশ করলে পেটে রক্ত চলাচলের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। ফলে হজমক্ষমতা বাড়ে। এই অভ্যাসে যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন তারাও উপকার পাবেন।
মন শান্ত হয়
মন খারাপ করে আছেন? কিছুতেই মন ভালো হচ্ছে না? নাভিতে তেল মালিশ করুন। এতে মন শান্ত হয়। এমনটাই বলছে আয়ুর্বেদ। নাভিতে তেল মালিশ করলে মনসংযোগ বাড়ে, আবেগে নিয়ন্ত্রণ আসে। উদ্বেগ কমাতেও ভরসা রাখতে পারেন এই অভ্যাসের উপর।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি
আয়ুর্বেদ মতে, নিয়মিত নাভিতে অলিভ তেলের মালিশ করলে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি পায়। এই অভ্যাসে ত্বকে রক্ত চলাচলের পরিমাণ বাড়ে। কমে ত্বকে দূষিত পদার্থের পরিমাণ। এতেই উজ্জ্বল হয় ত্বক।
চুলের বৃদ্ধি
হাজার হাজার শিরা-উপশিরা নাভির সঙ্গে যুক্ত। এগুলোর অনেকগুলোই মাথার ত্বকে গিয়ে পৌঁছে শেষ পর্যন্ত। আয়ুর্বেদ বলছে, নাভিতে তেল মালিশ করলে এই শিরা-উপশিরার মাধ্যমে চুলও পুষ্টি পায়। ফলে চুলের বৃদ্ধি হয় দ্রুত।
যৌনক্ষমতা বৃদ্ধি
নারী কিংবা পুরুষের যে কেউই যদি নাভিতে নিয়মিত তেল মালিশ করেন, তাহলে যৌনক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এক্ষেত্রে নিম তেল বা নারকেল তেল মালিশ করলে উপকারিতা বেশি পাওয়া যায়।
গাঁটের ব্যথা কমে
অনেকেই জয়েন্টের ব্যথায় ভোগেন। এই জাতীয় ব্যথা কমানোর দাওয়াই হিসেবে আয়ুর্বেদে নাভিতে তেল মালিশ করার কথা বলা আছে। এতে হাড়ের ঘনত্বও বাড়তে পারে।
চোখের সমস্যা কমে
সারা দিন কম্পিউটারের দিকে তাকিয়ে থাকা কিংবা বই পড়ার মতো অভ্যাসের ফলে চোখ শুকিয়ে যেতে পারে। চিকিৎসার পরিভাষায় একে ‘ড্রাই আইজ’ বলে। নাভিতে নিয়মিত তেল মালিশ করলে এই সমস্যাও কমতে পারে।
নাভিতে কোন তেল মালিশ করবেন?
নাভিতে সরিষার তেল মালিশে সবচেয়ে বেশি উপকার মেলে। এছাড়াও নারকেল তেল, অলিভ অয়েলও মালিশ করতে পারেন। মাঝেমধ্যে এসেনশিয়াল অয়েল নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়েও ব্যবহার করা যায়।
Discussion about this post