নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপি সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) দাবির মুখে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (চলতি দায়িত্বে) পদ থেকে অধ্যাপক রোবেদ আমিনকে সরিয়ে নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নাজমুল হোসেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দায়িত্ব (অতিরিক্ত) পালন করবেন বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অফিস আদেশে বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অফিস আদেশে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেনকে তার নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দায়িত্ব দেয়া হলো।
এর আগে ১৯ আগস্ট অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমকে সরিয়ে রোবেদ আমিনকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) করে মন্ত্রণালয়। তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ (এনসিডিসি) শাখার পরিচালক ছিলেন। কিন্তু বেঁকে বসে বিএনপি সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে রোবেদ আমিনের বিরুদ্ধে দুই ধরনের অভিযোগ করে ড্যাব।
প্রথমত, রোবেদ আমিন ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরোধিতা করেছেন। দ্বিতীয়ত, অসংক্রমক রোগনিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর থাকার সময় তিনি ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি করেছেন। তবে রোবেদ আমিন দুটি অভিযোগই সত্য নয় বলে দাবি করেন। এছাড়া অসুস্থতার কারণে ছুটিতে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
গত ১৯ আগস্টের পর থেকে ড্যাবের সমর্থক চিকিৎসক ও কর্মচারীদের একটি অংশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কার্যত অবরুদ্ধ করে রাখে। প্রতিদিনই অধিদপ্তরের সামনে সমাবেশ করে। গতকালও (বুধবার) করেছে। তারা অন্য কর্মকর্তাদেরও অফিসে ঢুকেতে বাধা দেয়। প্রায় এক মাস ধরে অধিদপ্তর কার্যত অচল হয়ে পড়ে।
এছাড়া রোবেদ আমিনের পদত্যাগের দাবিতে ১৯ অগাস্ট মহাখালীর ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে এক সভায় স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সামনেই হট্টগোল করেন চিকিৎসক-কর্মচারীরা। ওই দিন থেকেই রোবেদ আমিন এবং আওয়ামীলীগপন্থি চিকিৎসক-কর্মকর্তাদের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ঢুকতে দেয়া হয়নি। এমনকি বিএনপি সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন ড্যাব গত শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে রোবেদ আমিনকে ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ আখ্যা দেয়। আন্দোলনকারীদের বাধায় নিয়োগের পর থেকে একদিনও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আসতে পারেননি অধ্যাপক রোবেদ।
Discussion about this post