নিজস্ব প্রতিবেদক
টানা ভারী বর্ষণে কক্সবাজার শহরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি জেলার ৯ উপজেলার অধিকাংশ গ্রাম দুই থেকে তিন ফুট তলিয়ে গেছে। এতে পর্যটনের শহর কক্সবাজারের প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া পানিবন্দি হয়ে পড়েছে টেকনাফ ও উখিয়ায় অন্তত ১০০ গ্রামের মানুষ।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টা পর্যন্ত অন্তত ২৫ হাজার পর্যটক আটকা পড়েছেন হোটেলে।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা থেকে শুক্রবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৫০১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা ২০১৫ সালের পর একদিনে সর্বোচ্চ। এতে পাহাড়ধস এবং বন্যার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
দেখা গেছে, শহরের কলাতলী হোটেল-মোটেল জোনের প্রধান সড়কটি ডুবে গেছে। সড়কের দুপাশের পাঁচ শতাধিক হোটেল গেস্টহাউসে যাতায়াতের অভ্যন্তরীণ ১০টি উপসড়কও প্লাবিত হয়েছে। এতে অন্তত ২৫ হাজার পর্যটক হোটেলে আটকা পড়েন। অনেক পর্যটককে হাঁটু-কোমর পানি ভেঙে রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে। তবে বেশির ভাগই হোটেলকক্ষে অলস সময় কাটাচ্ছেন।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, সহস্রাধিক পর্যটক জলাবদ্ধতায় হোটেল-মোটেলে আটকা পড়েছেন। এ রকম জলাবদ্ধতা এর আগে দেখিনি।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বিভীষণ কান্তি দাশ জানিয়েছেন, কক্সবাজারে টানা বৃষ্টিতে অনেক এলাকা পানির নিচে। কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থান থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে কাজ চলছে।
Discussion about this post