এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলমের গৃহকর্মীও কোটিপতি। গৃহকর্মীর নাম মর্জিনা আক্তার। তার নামে ব্যাংকে কোটি টাকা এবং কয়েকটি এফডিআরের সন্ধান মিলেছে। এ ছাড়াও বিপুল পরিমাণ সম্পদের খোঁজ পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ) এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এসব তথ্য।
ইসলামী ব্যাংকে চাকরি দেখিয়ে নিজ নামে এ সম্পদ গড়েছে মর্জিনা আক্তার ও তার স্বামী সাদ্দাম হোসেন। মর্জিনা ও তার স্বামী সাদ্দাম এখন ইসলামী ব্যাংকে কর্মরত। এস আলমের কল্যাণেই মিলেছে এ চাকরি। দুজনই একই প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুবাদে ফুলে-ফেঁপে উঠেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
তাদের নামে ধোবাউড়া উপজেলা ডাকবাংলোর সামনেও জমি রয়েছে। সাদ্দাম ও তার স্ত্রী মর্জিনার বিরুদ্ধে সরকারি পুকুর এবং জনসাধারণের যাতায়াতের রাস্তা দখলেরও অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখছে স্থানীয় প্রশাসন। একজন গৃহকর্মীর ব্যাংক হিসাবে কিভাবে কোটি টাকার লেনদেন হয় এবং কীভাবে কোটি টাকার এফডিআর খোলা যায়; এ নিয়ে বিস্মিত খোদ ব্যাংক কর্মকর্তারা। মর্জিনার নামে খোলা সব ব্যাংক হিসাব খতিয়ে দেখছে এনবিআর।
সম্প্রতি এস আলম পরিবারের সদস্য ও তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ব্যাংক লেনদেনের তথ্য যাচাই-বাছাই শুরু করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর অঞ্চল-১৫। সেসময়ই চট্টগ্রামে ইসলামী ব্যাংকের পাঁচলাইশ শাখায় গৃহকর্মী মর্জিনার টাকার খোঁজ মেলে। প্রতিটিতে ৪ লাখ ৭০ হাজার ৯০৩ টাকা করে ২২টি স্থায়ী আমানতের মাধ্যমে এই টাকা রাখা হয়েছে।
এরই মধ্যে এ অর্থ জব্দ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এছাড়া, এস আলম গোষ্ঠীর ১৮টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে চট্টগ্রামের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট। এ মাসেই নিরীক্ষা দল প্রাথমিক প্রতিবেদন দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
Discussion about this post