জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে বক্তব্য দেওয়ার পর ওই দিনই ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন তিনি।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। একই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কোন কোন দেশের এবং কোন কোন সংস্থার প্রতিনিধির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে সেটিও জানান তিনি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী ডিক স্কফ, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেন, জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস, জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক, বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ও ইউএসএআইডির প্রশাসকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক নিশ্চিত হয়েছে। এ ছাড়া আরও কিছু পাইপলাইনে আছে এবং এটি আমরা পরে জানাতে পারব।’
তিনি বলেন, ‘এসব বৈঠকে সরকারের ক্ষমতাগ্রহণের প্রেক্ষাপট নিয়ে কথা হবে। আমাদের যেসব প্রতিশ্রুতি আছে, সেগুলো নিয়ে কথা হবে। এখানে যেসব সংস্কার হবে, সেটি তাদের অবহিত করবেন। আমরা এরইমধ্যে মানবাধিকার নিয়ে যে অগ্রগ্রতি অর্জন করেছি, সেটিও জানাবেন। আমরা ইতোমধ্যে একটি মানবাধিকার কনভেনশনে পক্ষভুক্ত হয়েছি। এ ছাড়া মানবাধিকার বিষয় নিয়ে কথা হবে। আমরা দেশে যে খোলামেলা পরিবেশ সৃষ্টি করতে যাচ্ছি বা করেছি, তাতে করে যে কেউ মানবাধিকার ইস্যু তুলতে পারেন এবং এ ব্যাপারে সরকার যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে সমাধানে তৎপর থাকবে, সে ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি তিনি দিয়েছেন এবং দিয়ে থাকবেন।’
মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় যেসব বৈঠক আছে সেখানে, সেসব বিষয়ে কথা হবে। তবে কোনোটাই বেশি গভীরে যাবেন না। কারণ, এ সব বৈঠক ১৫ থেকে ২০ মিনিটের হয়ে থাকে।’
পূর্বে বড় প্রতিনিধি দলের অধিবেশনে যাওয়া প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আগে বড় প্রতিনিধি দল কেন যেতো, সেটি আমি বলতে পারবো না। আমি জানি না। কিন্তু বর্তমান সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে ব্যয় সংকোচন করতে হবে, অপ্রয়োজনীয় খরচ করা যাবে না।’
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে নিরাপত্তা, গণমাধ্যমসহ সব মিলিয়ে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে থাকছেন ৫৭ জন।
প্রসঙ্গত, ৭৩তম ও ৭৪তম জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে ৩৪৪ ও ৩৩৫ ব্যক্তি গিয়েছিলেন। কোভিডের কারণে ৭৫তম অধিবেশন ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কোভিডের সীমাবদ্ধতার মাঝেও ৭৬তম অধিবেশনে ১০৮ জন এবং ৭৭তম অধিবেশনে ১৩৮ জন এবং ৭৮তম অধিবেশনে গিয়েছিলেন ১৪৬ জন।
Discussion about this post