ডেঙ্গু আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায়ও মশাবাহিত রোগটি দুজনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এ সময়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৮৬৬ জন। সব মিলিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১৩৩ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ডেঙ্গু। আক্রান্তের সংখ্যাও এরই মধ্যে ২৫ হাজার ছুঁই ছুঁই।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, নতুন ভর্তি রোগীদের নিয়ে বাংলাদেশে এ বছর হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ৯০০ জনে। মৃতের সংখ্যা ১৩৩ জন।
গত একদিনে ভর্তি রোগীদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ৩২৭ জন, ঢাকা বিভাগে ১৫৮ জন, চট্টগ্রামে ১২১ জন, বরিশালে ৫৫ জন, খুলনায় ৮৫ জন, ময়মনসিংহে ৩৬ জন রাজশাহী বিভাগে ৫৪ জন, রংপুর বিভাগে ১৮ জন এবং সিলেট বিভাগে ১২ রোগী ভর্তি হয়েছে।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছে ২৭৭২ জন রোগী।
গত একদিনে যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে তাদের একজন বরিশাল বিভাগের বাসিন্দা। আরেকজন ঢাকা বিভাগের।
চলতি সেপ্টেম্বর মাসে বছরের আগের যে কোনো মাসের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে। এ সময় মৃত্যুও হয়েছে বেশি। ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১২ হাজার ৫৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে ৫০ জনের।
এমন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিগগিরই নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে আসছে অক্টোবরে আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে ডেঙ্গুর প্রকোপ। বিশেষ করে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ১৮টি জেলা উচ্চঝুঁকিতে আছে বলে জানাচ্ছেন তারা।
ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম জানান, ডেঙ্গু বিষয়ে আগে যেসব পরিকল্পনা করা ছিল, সেই অনুযায়ীই কাজ করছেন তারা। কাউন্সিলর না থাকার কারণে একটু সমস্যা হচ্ছে বলে স্বীকার করেছেন তিনি।
অন্যদিকে ডিএসসিসির প্রশাসক ড. মহা. শের আলী বলছেন, দক্ষিণ সিটির আওতায় হাসপাতালে যেসব রোগী মারা যাচ্ছেন, এগুলো এই করপোরেশনের বলা হচ্ছে। তবে হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, এসব রোগীদের অনেকে ঢাকারে বাইরে থেকে এসেছেন।
উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর তথ্য রাখে ২০০০ সাল থেকে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে এ রোগ নিয়ে সবচেয়ে বেশি ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৭০৫ জনের মৃত্যুও হয় ওই বছর।
Discussion about this post