স্পোর্টস ডেস্ক
ভারতের বিপক্ষে দুই টেস্টের শেষ ম্যাচ খেলতে ভারতের কানপুরে অবস্থান করছে বাংলাদেশ দল। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে মুখামুখি হবে বাংলাদেশ-ভারত। তবে চলমান সিরিজ শেষে মোটেও বিশ্রামের সুযোগ নেই শান্তদের। কারণ, অক্টোবরে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দুই ম্যাচের সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
এরই মধ্যে দেশসেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। আসন্ন হোম সিরিজ কী খেলবেন তিনি? সাকিব দেশে ফিরলে কী হবে?
এসব প্রশ্নের কারণ, ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের সংসদ সদস্য হিসেবে সাকিবের নামে রয়েছে হত্যা মামলা। মামলা হওয়ার সময় তার ক্রিকেট খেলা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল জনমনে। তবে দেশের হয়ে ভারত-পাকিস্তান সফরের পর সেই শঙ্কা আর নেই।
তবে সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সাকিবের খেলার বিষয়ে কথা বলেছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স ইনচার্জ শাহরিয়ার নাফীস।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘তার জানামতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে সাকিবের খেলতে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’
শাহরিয়ার বলেছেন, ‘সাকিব আল হাসানের ব্যাপারে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, মাননীয় আইন উপদেষ্টা এবং মাননীয় ক্রীড়া উপদেষ্টা খুব স্পষ্টভাবে বলেছেন। বাংলাদেশ সরকার থেকেও পরিষ্কার বার্তা আছে, যে মামলাগুলো হয়েছে, সেগুলোতে কাউকে অন্যায়ভাবে হেনস্তা করা হবে না। সাকিবের ব্যাপারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের অবস্থান খুব সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেছে। চোটের সমস্যা না থাকলে এবং নির্বাচনজনিত কোনো ইস্যু যদি না থাকে, এখন পর্যন্ত সাকিব আল হাসানের হোম সিরিজে না খেলার কোনো কারণ আমি দেখি না।’
জানা গেছে, মামলা থাকলেও দেশের মাটিতে প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে সিরিজটি খেলতে মরিয়া হয়ে আছেন সাকিব। দেশে এলে তাকে কোনোভাবে হেনস্তার শিকার হতে হবে না বলে আশা করেছেন তিনি। অন্যদিকে, সাকিবকে দলে রাখা বা না রাখার সিদ্ধান্তটি শুধু ক্রিকেটীয় দৃষ্টিকোণ থেকেই নেবে নির্বাচক কমিটি। অন্য কোনো বিষয় তারা বিবেচনায় নেবে না।
এ বিষয়ে ক্রিকেটারদের সংগঠন কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল বলেছেন, ‘সাকিব যাতে স্বস্তি নিয়ে খেলতে পারেন, বিসিবির উচিত সে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা।’
Discussion about this post