নিজস্ব প্রতিবেদক
সদ্য শেষ হওয়া কানপুর টেস্টে মাঠে নামার আগেই টি-টোয়েন্টি এবং টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন সাকিব। জানিয়েছিলেন চলতি মাসে অনুষ্ঠিত হওয়া মিরপুর টেস্ট দিয়ে লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় বলতে চান তিনি। কিন্তু আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হওয়ায় তার দেশে ফেরা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
এরপর নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয় বিসিবি। এর মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকেও এখনও পর্যন্ত কোনো সবুজ সংকেত আসেনি। কিন্তু গতকাল (সোমবার) অবশ্য সাকিব ইস্যুতে কিছুটা আশা জাগিয়েছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ।
বোর্ড সভার পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, সাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। তার খুব ভালো সম্ভাবনা আছে বাংলাদেশ থেকে অবসরে যাওয়ার।
সাকিবের নামে হত্যা মামলা হয়েছে। আওয়ামী লীগের বেশির ভাগ সংসদ সদস্যই এখন গ্রেপ্তারও হচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে সাকিব দেশে ফিরলে তারও গ্রেপ্তার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই দেশে তার নিরাপত্তা এবং দেশ ত্যাগের সময় যেন কোনো জটিলতায় না পড়তে হয়, তার নিশ্চয়তা চেয়েছেন তিনি।
এ অবস্থায় আইনি কাঠামো কী হবে জানতে চাওয়া হয় ফারুকের কাছে। তিনি বলেন, লিগ্যালটা তো আমি বলতে পারব না। আমার কথা হলো সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে, আমি তো ছোট মানুষ, বোর্ড প্রেসিডেন্ট। আমার হাতে ক্ষমতা খুব কম। সাকিবের ব্যাপারটা পুরোপুরি সরকার থেকে আসতে হবে।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আছে, সরকার আছে, উপদেষ্টা আছে তারা সিদ্ধান্ত নেবে তার সামগ্রিক দায়িত্ব নেওয়ার। আমাদের যতটুকু ক্ষমতা, স্টেডিয়ামের ভেতর ও ইনডোরে যাবে, মাঠে খেলবে, অনুশীলন করতে যাবে; এই দায়িত্ব নেওয়াটা তো খুব সহজ। এটা আমরা নিতে পারব।
এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের সঙ্গে মিশে আছে সাকিবের বিপিএলের অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত। শেষ পর্যন্ত দেশে আশার গ্রিন সিগনাল না পেলে আসন্ন বিপিএলে দেখা যাবে না দেশসেরা এই ক্রিকেটার।
Discussion about this post