নিজস্ব প্রতিবেদক
টি-টোয়েন্টিতে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে ২০২১ সালে অধিনায়কত্ব হারিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সেই সঙ্গে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল তাকে। তবে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং বিপিএলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জায়গা করে নেন এই ফিনিশার ব্যাটার।
তবে নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে এক ওভারে পাঁচটি ডট বল খেলে হয়েছিলেন চরম সমালোচিত। এরপর ভারত সিরিজে রিয়াদের অন্তর্ভূক্তি সবাইকে চমক দিয়েছিল। কিন্তু এই সিরিজ দিয়েই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে বিদায় বললেন এই তারকা ক্রিকেটার।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে এসেই চলমান সিরিজ দিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ইতিটানার ঘোষণা দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।
অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে মাহমুদউল্লাহ বলেন, এই সিরিজের শেষ ম্যাচের পরেই আমি টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেব। এটা আমি এই সফরে আসার আগেই ঠিক করে রেখেছিলাম। আমি আমার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। আমার কোচ, অধিনায়ক, নির্বাচক এবং বোর্ড সভাপতিকেও সিদ্ধান্ত জানিয়েছি।
‘আমি মনে করি, এটাই সঠিক সময় এই সংস্করণ থেকে সরে গিয়ে সামনে ওয়ানডে যা আছে, সেদিকে মনোযোগ দেওয়ার। আমার জন্য এবং পরের (টি-টোয়েন্টি) বিশ্বকাপের কথা যদি ভাবি, দলের জন্যও এটাই সঠিক সময়।’
নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার নিয়ে কোনো আক্ষেপ আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাব তিনি জানালেন, ‘না, কোনো আক্ষেপ নেই, এক ফোঁটাও নয়।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে নাইরোবিতে কেনিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয় মাহমুদউল্লাহর। বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৩৯টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি। ১১৭.৭৪ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ২৩৯৫, গড় ২৩.৪৮।
বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়ার রেকর্ডও মাহমুদউল্লাহর। ২০১৮ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ৪৩টি টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে টস করতে নেমেছেন তিনি। অধিনায়ক হিসেবে জয় পেয়েছেন ১৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে, হার ২৬টিতে।
Discussion about this post