নিজস্ব প্রতিবেদক
বাজারে সরবরাহ ঘাটতি মেটাতে সাতটি প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে চার কোটি ডিম মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) আমদানির অনুমোদন দেয় সরকার। এ খবরে রাজধানীর বাজারগুলোতে পণ্যটির দাম কিছুটা কমেছে। কয়েক দিনের ব্যবধানে ডিমের দাম প্রতি ডজনে কমেছে ২০ থেকে ৩০ টাকা।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর শেওড়াপাড়া, মগবাজার ও মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটসহ বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা পর্যায়ে ফার্মের মুরগির এক ডজন ডিম বিক্রি হয়েছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়। কারওয়ান বাজারে তা ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়।
আর পাইকারিতে ডিমের ডজন ছিল ১৪০ টাকা ৪০ পয়সা। যদিও চার পাঁচ দিন আগে খুচরা পর্যায়ে এক ডজন ডিম কিনতে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা লাগত।
দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে। আমদানিতে শুল্ক কমানোর সুপারিশও এসেছে। সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে বাজার তদারকি। তবে সরকারের এসব পদক্ষেপে ডিমের দাম কিছুটা কমলেও তা হবে সাময়িক। ডিমের দাম ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনতে হলে ডিমের উৎপাদন খরচ কমানো ও সিন্ডিকেটকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
অনেক খামারির অভিযোগ কিছু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করেও ডিমের দাম বাড়াচ্ছেন। প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, ঢাকাকেন্দ্রিক একটি চক্র ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। তারাই ইচ্ছেমতো দাম বাড়ায়। এতে ক্ষুদ্র খামারিরা সঠিক দাম পান না। আর ক্রেতারাও বেশি দামে ডিম কেনেন।
তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আমানত উল্লাহ বলেন, অভিযান ও জরিমানার ভয়ে ডিমের দাম কমিয়েছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। এভাবে বেশি দিন দাম কমিয়ে রাখা যাবে না। ভয়ে অনেকে ডিম বিক্রি কমিয়ে দিয়েছেন। এতে আবার বাজারে সরবরাহ কমেছে।
এদিকে, ডিমের পাশাপাশি ব্রয়লার মুরগির দামও চড়া। বুধবার (৯ অক্টোবর) প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়।
Discussion about this post