তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মোঃ নাহিদ ইসলাম বুধবার (৯ই অক্টোবর) ঢাকার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনের শুরুতে উপদেষ্টা ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে যান। এ সময় সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দ তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
সেখানে তিনি দুর্গাপূজার সার্বিক ব্যস্থাপনার খোঁজখবর নেন এবং সনাতন ধর্মাবলম্বী প্রতিনিধিদের সঙ্গে দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর উপদেষ্টা বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত শারদীয় শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
এ সময় তিনি বলেন, ধর্মীয় উৎসব সমাজে সৌহার্দ ও সম্প্রীতি বৃদ্ধি করে। ধর্মীয় উৎসবের মাহাত্ম্য ও নৈতিক শিক্ষা ব্যক্তি জীবনে প্রতিফলনের উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সময় ধর্মের ভিত্তিতে কোনো বিভাজন ছিল না।
এই অভ্যুত্থানে সকল ধর্মের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে যে ঐক্য সৃষ্টি হয়ে তা বজায় রাখতে তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, পূজামণ্ডপে নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে। কেউ বিশৃঙ্খলা করলে তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।
ঢাকেশ্বরী পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা রমনা কালী মন্দির পূজামণ্ডপে যান। সেখানে তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় তিনি বলেন, সবাই যেন ধর্মীয় অধিকার ও ধর্মীয় উৎসব নির্বিঘ্নে পালন করতে পারে, সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। ধর্মের ভিত্তিতে আমরা কোনো বৈষম্য বাংলাদেশে দেখতে চাই না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দাবি পূরণে সরকার কাজ করছে। সাম্প্রতিক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, সরকার তাঁদের ক্ষতি পূরণের ব্যবস্থা করেছে। যারা সংখ্যালঘু হামলায় জড়িত, তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে বলেও উপদেষ্টা আশ্বাস দেন। তিনি সুখী-সমৃদ্ধ ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
রমনা কালী মন্দির পূজামণ্ডপ পরিদর্শনের পর তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের পূজামণ্ডপ যান।
সেখানে তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
Discussion about this post