নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর এবার পরিবর্তন এসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেও (বিসিবি)। দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয়া চন্ডিকা হাথুরুসিংহের মেয়াদ শেষের আগেই বিদায়ঘণ্টা বেজে গেল। আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানানোর পাশাপাশি শোকজও করা হয়েছে শ্রীলঙ্কান এই কোচকে। একই সঙ্গে তার স্থলাভিষিক্ত নতুন কোচ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিল সিমন্সের নাম।
হাথুরুকে বাংলাদেশের হেড কোচ হিসেবে রাখবেন না ফারুক আহমেদ, এমন গুঞ্জন ছিল দুই মাস আগ থেকেই। অবশেষে গতকাল সোমবার বিপিএল প্লেয়ার্স ড্রাফটের আগ মুহূর্তে অথবা আগেরদিন রাতেই বিসিবিপ্রধানের ফোনে কোচ পদ থেকে অব্যাহতির বিষয়ে জানতে পারেন হাথুরুসিংহে। যদিও সেটা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছিল না।
অবশেষে মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ এক সংবাদ সম্মেলনে হাথুরুকে শোকজ ও বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। একই সঙ্গে তার বদলে ফিল সিমন্সের দায়িত্ব নেয়ার কথা জানানো হয়।
পাকিস্তানের বিপক্ষে দলের দারুণ পারর্ফমের পর এক প্রকার টিকে গিয়েছিলেন হাথুরু। তবে ভারতের বিপক্ষে লজ্জার হোয়াইটওয়াশের পর সমালোচনার তির আবার ঘুরে আসে তার দিকে। শেষ পর্যন্ত আজ বাংলাদেশ ক্রিকেটে অধ্যায় শেষ হলো হাথুরুসিংহের।
দলের হেড কোচ ছিলেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। কিন্তু সেবার চুক্তির মাঝপথে হাথুরুসিংহে অনেকটা আকস্মিকভাবে বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যান। সেই সময়ে আলোচনা ওঠে, কোনও ক্রিকেটার বা বোর্ড কর্তার সঙ্গে খারাপ সম্পর্কের কারণেই হয়ত দেশ ছাড়েন তিনি। যদিও অনেক পরে এসে জানান, শ্রীলঙ্কার কোচ হওয়ার কারণেই সেই সময়ে বাংলাদেশের দায়িত্ব ছাড়েন তিনি।
হাথুরু এসব অপরাধ হয়তো ঢাকা পড়ে যেতো, যদি ভারত সিরিজে ভালো কিছু করতে পারতো বাংলাদেশ। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে লড়াইটাও করতে পারেনি নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এমনকি যেভাবে হেরেছে, তাও ছিল দৃষ্টিকটু। এসব কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ সামনে রেখেই হাথুরুকে অব্যাহতি দিয়েছে বিসিবি।
হাথুরু দুই মেয়াদে বাংলাদেশ দলের হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রথম মেয়াদে ২০১৪ সালের মে থেকে ২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের ক্রিকেটের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এরপর নিজ দেশ শ্রীলঙ্কার হেড কোচের দায়িত্ব পালন করেন হাথুরু।
২০২৩ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশের কোচ হয়ে আসেন শ্রীলঙ্কার কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। ৩৫ হাজার ডলারে তার সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে। যে চুক্তির মেয়াদ ছিল ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তবে চুক্তি অনুযায়ী মেয়াদ পূরণ না করে এবারও বরখাস্ত করা হলো হাথুরুসিংহেকে।
Discussion about this post