স্পোর্টস ডেস্ক
অসদারচণ ও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বাংলাদেশের প্রধান কোচের পদ থেকে চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে বরখাস্ত করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। পাশাপাশি ৪৮ ঘণ্টার শোকজ নোটিশ দিলেও মূলত ওইদিনই লঙ্কান কোচকে অব্যাহতি দিয়ে দেয় বোর্ড।
গতকাল বৃহস্পতিবার ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা শেষ হওয়ার পর বিসিবি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে হাথুরুসিংহের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ছিন্ন করার বিষয়টি জানিয়েছে। তবে শোকজ নোটিশে সাবেক কোচ কী জবাব দিয়েছিলেন, সেটি জানার আগ্রহ ছিল সবার। কিন্তু বিসিবি সেই ব্যাপারে কিছু জানায়নি।
শুক্রবার মুখ খুলেছেন হাথুরুসিংহে। তার বিরুদ্ধে আসা অভিযোগগুলোকে ‘পূর্বপরিকল্পিত’ বলছেন লঙ্কান কোচ। সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নিজের অবস্থান তুলে ধরেছেন হাথুরুসিংহে। বলেছেন, ‘আমার মনে হচ্ছে এসব অভিযোগ পূর্বপরিকল্পিত।’
হাথুরুসিংহে বলেন, ‘এসব অভিযোগ পূর্বপরিকল্পিত মনে হচ্ছে আমার কাছে। বিসিবির নতুন সভাপতি দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিন থেকেই আমাকে সরানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। এমনকি নতুন কোচ নিয়োগের মাত্র চার ঘণ্টা আগে আমাকে শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়, যেখানে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য মাত্র ৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়। এ ধরনের আচরণ সন্দেহজনক ও উদ্দেশ্যমূলক বলে মনে হচ্ছে।’
বিশ্বকাপ চলাকালে নাসুম আহমেদকে চড় মারার অভিযোগ নিয়ে হাথুরু বলেন, ‘অভিযুক্ত ঘটনা ডাগআউটে বা ড্রেসিংরুমে ঘটেছে বলে বলা হচ্ছে, যেখানে খেলার প্রতিটি মুহূর্ত ক্যামেরায় ধারণ করা হয়। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, ওই খেলোয়াড় বা টিম ম্যানেজার ঘটনাটি সঙ্গে সঙ্গেই কেন রিপোর্ট করেননি? কেনই বা বিষয়টি এতদিন পরে ইউটিউবের মাধ্যমে প্রকাশিত হলো?’
হাথুরুর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি নির্ধারিত সময়ের বাইরেও ছুটি কাটিয়েছেন। এই অভিযোগের জবাবে হাথুরু বলেন, ছুটি নেওয়ার বেলায় সবসময় সিইও এবং ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান উভয়ের কাছ থেকে অনুমতি চেয়েছি এবং পেয়েছি। কোনও সময়ই বিসিবি আমাকে বলেনি যে তারা আমার ছুটি নিয়ে অসন্তুষ্ট। তাদের অনুমতি ছাড়া আমি কখনও ছুটিতে যাইনি।
হাথুরুসিংহে আরও অভিযোগ করেন যে, তাকে দ্রুত বাংলাদেশ ছাড়তে চাপ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘এই ধরনের পরিস্থিতি ও অভিযোগ নতুন ম্যানেজমেন্টের উদ্দেশ্য এবং বিসিবির ভেতরের কর্মপদ্ধতি নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলছে।’
Discussion about this post