নিজস্ব প্রতিবেদক
সিলেটের গোলাপগঞ্জে দ্বিতীয় বিয়ে করায় স্বামীকে ভাতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে প্রথম স্ত্রীর বিরুদ্ধে। হত্যার পর মরদেহ খাটের নিচে ইট দিয়ে লুকিয়ে রাখেন ওই স্ত্রী, এমনটিও দাবি করছেন স্থানীয়রা। এ ঘটনায় প্রথম স্ত্রী নাদিয়া বেগমকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল শনিবার উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের হিলালপুর গ্রামের একটি ভাড়া বাসা থেকে ওই ইমামের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি মীর মো. আব্দুন নাসের।
নিহত মাওলানা রুহুল আমীন (৩৭) সিলেটের গোয়াইনঘাট থানার ডৌবাড়ি ইউনিয়নের ডেমি গ্রামের শহিদুর রহমানের ছেলে। রুহুল আমীন হিলালপুর গ্রামের একটি মসজিদের ইমামতি করতেন।
স্থানীয়রা জানান, ঘাতক নাদিয়া বেগম দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। প্রবাসে থাকাকালীন সময়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রুহুল আমীনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর ২০২০ সালে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। এর কয়েকদিন পর স্বামীর চাপে তিনি দেশে চলে আসেন। দেশে আসার পর তাদের সংসার সুখের ছিল না। বিভিন্ন সময় তাদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি হতো।
গত ১৫ দিন আগে স্ত্রীকে না জানিয়ে ইমাম রুহুল আমীন অন্য এক নারীকে বিয়ে করেন। এ কারণে স্বামীর প্রতি ক্ষোভ বেড়ে যায় স্ত্রী নাদিয়ার।
গত শুক্রবার রাতের রুহুল আমীনকে ভাতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে দেন স্ত্রী নাদিয়া। পরে তিনি অচেতন হয়ে পড়লে ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন স্ত্রী। হত্যার পর মরদেহ খাটের নিচে ইট দিয়ে লুকিয়ে রাখেন তিনি।
পরে গতকাল শনিবার বিকেলে প্রতিবেশীরা খাটের নিচে রুহুল আমীনের মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে পাঠায়।
এ বিষয়ে ওসি মীর মো. আব্দুন নাসের বলেন, প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে রুহুল আমীনকে অচেতন করে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
Discussion about this post