নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ২৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুর থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ সন্ধ্যার পর সংঘর্ষে রূপ নেয়, যেখানে আন্দোলনকারীরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং পুলিশের একটি গাড়ির ওপর আক্রমণ চালায়।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) ডিএমপির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে ৯ জন রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বাকি ১৬ জনকে একই হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
ডিএমপি মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার মো. শাহরিয়ার আলী জানিয়েছেন, বঙ্গভবনের সামনে মঙ্গলবার দায়িত্বরত পুলিশের বেশিরভাগ সদস্যই কমবেশি ‘ইট-পাটকেল, মারধরের শিকার হয়েছেন।
বঙ্গভবনের সামনে আন্দোলনকারীদের অবস্থান নিয়ে উত্তেজনা শুরু হয় মূলত সন্ধ্যার পরে। ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা। সে সময় পুলিশ লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে তাদের সরানোর চেষ্টা করে। এ সময় অন্তত তিন জন আহত হন। তবে তাদের আঘাত ‘গুরুতর নয় বলে জানিয়েছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. ফারুক।
পরে পুলিশের ওপর চড়াও হয় আন্দোলনকারীরা। তারা পুলিশের একটি গাড়িকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়ে। গাড়িতে উঠে পুলিশকে লাঠি দিয়ে আঘাত করতেও দেখা যায়।
রাত পৌনে ১০টার দিকে মাইকে ঘোষণা দিয়ে একদল বিক্ষোভকারী বঙ্গভবনের ভেতরে ঢুকতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে তাদের আবার সংঘাত হয়। পরে আন্দোলনকারীরা ঢিল ছুড়তে থাকলে পুলিশ দৈনিক বাংলা মোড়ের দিকে সরে যায়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে এবং ৫ অগাস্ট সরকার পতনের দিন ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় থানা, পুলিশ ফাঁড়িসহ পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা হয়। ভাঙচুর করে লুটপাটের চালিয়ে এসব স্থাপনায় আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় ৪৪ পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন, এর মধ্যে কনস্টেবলই ২১ জন।
Discussion about this post