নিজস্ব প্রতিবেদক
ফ্যাসিবাদের পক্ষের কোনো শক্তিকে ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বুধবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টায় জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সংবিধানের দোহাই দিয়ে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে বহাল রাখতে চায়, যা ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশের সঙ্গে যায় না।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের পক্ষের কোনো শক্তিকে ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া হবে না। ’৭২-এর সংবিধান বাতিল ও রাষ্ট্রপতির পদচ্যুতির বিষয়ে বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। যারা গণঅভ্যুত্থানের পক্ষে তারা ’৭২ এর সংবিধানের পক্ষে থাকতে পারে না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক বলেন, ’৭২ এর সংবিধান বাকশালীয়। গণ অভ্যুত্থানের পর এটি আর প্রাসঙ্গিক নয়। ‘২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে নতুন সংবিধান লিখতে হবে।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশ প্রশ্নে স্থায়ী সমাধানে আসতে হবে। এ লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
এ সময় চলতি সপ্তাহের মধ্যেই ছাত্রলীগকে আজীবন নিষিদ্ধ এবং রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে পদচ্যুত করার দাবি জানান তিনি।
এর আগে, মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সেখান পাঁচ দফা দাবি জানান তারা। দাবিগুলো হলো-
১. বিদ্যমান সংবিধান অনতিবিলম্বে বাতিল করে ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে নতুন সংবিধান লিখতে হবে।
২. ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে এ সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে আজীবন নিষিদ্ধ করতে হবে।
৩. রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে এই সপ্তাহের মধ্যে পদচ্যুত করতে হবে।
৪. এই সপ্তাহের মধ্যে জুলাই বিপ্লবের আলোকে প্রোক্লেমেশন অব রিপাবলিক ঘোষণা করতে হবে। বাংলাদেশের বিদ্যমান গণতন্ত্রকামী ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দলের মতের ভিত্তিতে বাংলাদেশ চলবে।
৫. ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবৈধ ঘোষণা করতে হবে। এ তিন নির্বাচনে যারা নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে। তারা যেন কখনো বাংলাদেশে নির্বাচন করতে না পারেন, সেজন্য আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
Discussion about this post