নিজস্ব প্রতিবেদক
সংবিধান সংশোধন করতে হলে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরকে দিয়েই করতে হবে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম খান।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক সমাবেশে এ দাবি করেন তিনি। সপ্তম ও নবম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে আবদুল হামিদ খান ভাসানীর জীবনী পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে এ সমাবেশ কর্মসূচি আয়োজন করে ভাসানী অনুসারী পরিষদ।
জুলাই-অগাস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ‘ফ্যাসিবাদের’ পতন হলেও ‘গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা’ ও ‘জনগণের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার’ আকাঙ্ক্ষা রয়ে গেছে মন্তব্য করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, এমনভাবে সেই গণতন্ত্র ‘পুনঃপ্রতিষ্ঠা’ করতে হবে, যাতে করে সেই গণতন্ত্র কেউ জনগণের বিপক্ষে কাজে না লাগাতে পারে।
তিনি বলেন, প্রকৃত গণতন্ত্র, জনগণের গণতন্ত্র, সেরকম একটা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য যে যে সংস্কার যেখানে করা দরকার, যত দ্রুত সেটা করে বাংলাদেশে জনগণের নির্বাচিত শাসন, নির্বাচিত সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা এখন সময়ের দাবি।
নির্বাচিত সরকারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বিএনপির এ নেতা বলেন, এটা যত দেরি হবে তত নতুন নতুন সংগঠন গজাবে, নতুন নতুন ব্যক্তি আসবে… তারা নতুন নতুন প্রস্তাব নিয়ে আসবে, নতুন নতুন আকাঙ্ক্ষার কথা ব্যক্ত করার চেষ্টা করবে এবং বোঝানোর চেষ্টা হবে যে, এটাই জনগণের আকাঙ্ক্ষা। এটা সঠিক হবে না।
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছাড়া কারও পক্ষে জনগণের আকাঙ্ক্ষার কথা বলার সুযোগ নেই মন্তব্য করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলও যদি বলে যে, ‘এটাই জনগণের আকাঙ্ক্ষা’, তাহলেও সেটা হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না সেটা জনগণ অনুমোদন করে।
তিনি বলেন, যেখানে সবচেয়ে বড় দল বললে হবে না, সেখানে কোনো বিশেষ ব্যক্তি বললে হয়ে যাবে, এমনটা হবে না। দেশে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে, জনগণকে আস্থায় নিয়ে তাদের সম্মতিতে তাদের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হবে গণতান্ত্রিক সরকারকে। আর সেটা করার জন্য যে বিধানগুলো দরকার সেই বিধান সন্নিবেশিত করে আমাদের সংবিধান সংশোধিত হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি।
Discussion about this post