নিজস্ব প্রতিবেদক
সংবিধান সংস্কারের পর বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম বলেছেন, এটা একেবারেই পলিটিক্যাল ডিসিশন। শুধুমাত্র ছাত্রদের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি হিসেবে আমাকে কমিশনে রাখা হয়েছে। সেই হিসেবে আমি বলতে পারি, অবশ্যই অবশ্যই এই সরকার করবে। কেন করবে না! এই সরকার ছাড়া কেউ এটা করবে না।
রোববার (৩ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় সংসদের এলডি মিলনায়তনে সংবিধান সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংবিধান সংস্কারের পর বাস্তবায়ন এই সরকার করবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের, ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক, অধ্যাপক মোহাম্মদ ইকরামুল হক, শরীফ ভূঁইয়া, ব্যারিস্টার এম মঈন আলম ফিরোজী, মো. মুসতাইন বিল্লাহ।
সংবাদ সম্মেলনে সংস্কারের পরিধি কেমন হবে সে প্রসঙ্গে ৭টি উদ্দেশ্য তুলে ধরে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তা হলো-
দীর্ঘ সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রতিশ্রুত উদ্দেশ্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার এবং ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের আলোকে বৈষম্যহীন জনতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা।
২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রকাশিত অংশগ্রহণমূলক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জনআকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটানো।
রাজনীতি এবং রাষ্ট্রপরিচালনায় সর্বস্তরে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণের ব্যবস্থা।
ভবিষ্যতে যেকোনও ধরনের ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থার উত্থান রোধ।
রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ- নির্বাহী বিভাগ, আইনসভা এবং বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ ও ক্ষমতার ভারসাম্য আনয়ন।
রাষ্ট্র ক্ষমতা ও প্রতিষ্ঠানসমূহের বিকেন্দ্রীকরণ ও পর্যাপ্ত ক্ষমতায়ন।
রাষ্ট্রীয়, সাংবিধানিক এবং আইন দ্বারা সৃষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যকর স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া।
Discussion about this post