নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতন হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। যে আন্দোলনের শুরুটা ছিল কোটা সংস্কার ঘিরে। শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান-নাতি-নাতনিদের জন্য বরাদ্দ করা ৩০ শতাংশ কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন। সেই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা।
অথচ অভ্যুত্থানের তিন মাস না পেরোতেই মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনি কোটা বহাল রেখে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এই ভর্তি প্রক্রিয়া জুলাই বিপ্লবের চেতনাবিরোধী বলে মনে করছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
ঢাবির ২০২৪-২৫ সেশনে ভর্তিতে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিদের জন্য মোট ৫ শতাংশ কোটা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সময়ের স্বল্পতার জন্য এই কোটা পদ্ধতি সংস্কার করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক কাউন্সিলের একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ২১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির বৈঠক হয়। পরে সার্বিক বিষয়ে ২৭ অক্টোবর একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠক হয়। এসময় কোটা সংস্কার নিয়ে কথা বলেন অধিকাংশ সদস্য। তবে সময়ের ‘স্বল্পতা’ দেখিয়ে এবারও গত সেশনের মতো ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা রেখে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানান উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ।
তবে সদস্যদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সেদিনই কোটা সংস্কারের লক্ষ্যে আইন অনুষদের ডিনকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। তবে সোমবার (৪ নভেম্বর) অনলাইনে ভর্তির আবেদন ও ভর্তি ফি জমা দেওয়া শুরু হলেও রোববার (৩ নভেম্বর) পর্যন্ত কমিটি গঠনের কোনো লিখিত বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি। ফলে এ কমিটির কোনো সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার আগেই মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিদের ৫ শতাংশ কোটা রেখে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
Discussion about this post