নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর গুলিস্তানে জিরো পয়েন্ট রোববার (১০ নভেম্বর) বিকেলে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয় আওয়ামী লীগ। পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে একই স্থানে দুপুরে ১২টার পর ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে গণজমায়েতের ডাক দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
এবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম নিজেদের ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘দেখা না দিলে বন্ধু, কথা কইয়ো না।’
কাকে উদ্দ্যশ্যে করে এই কথা বললেন সারজিস ও হাসনাত? এ নিয়ে নেটিজেনদের আগ্রহের কমতি নেই। কেউ কেউ মনে করছেন সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের একই ধরনের কথাকেই ব্যঙ্গ করেছেন।
গত বছরের ১৯ জুলাই ঢাবিতে এক সমাবেশ থেকে লন্ডনে থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সাহস থাকলে বাংলাদেশে এসে রাজনীতি করার আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো গণতান্ত্রিক আন্দোলন কি সফল হয়েছে, যেই আন্দোলনের নেতা বিদেশে পালিয়ে গিয়ে বিলাসী জীবন যাপন করছেন আর কর্মীদের রাজপথে থাকার আহ্বান জানাচ্ছেন! আমরা বলি—দেখা না দিলে বন্ধু কথা কইয়ো না।’
একইভাবে ১০ নভেম্বর শহীদ নুর হোসেন দিবসকে কেন্দ্র করে কর্মসূচি ঘোষণা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুঁশিয়ারি জানালেও আওয়ামী লীগ বা ছাত্রলীগের কেউ মাঠে থাকবে না বলে মনে করেন কেউ কেউ। তাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়কও ‘দেখা না দিলে বন্ধু কথা কইয়ো না’ স্ট্যাটাস দিতে পারেন বলে মনে করছেন নেটিজেনরা।
এদিকে, ফেসবুক লাইভে এসে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা নিজের দলের নেতাকর্মীদের ফেলে পালিয়ে গেছে। এটা তাদের বুঝতে হবে। শেখ হাসিনা নেতাকর্মীদের কী হবে, তারা কীভাবে থাকবে সেটা না ভেবে পালিয়ে গেছে।’
আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘বের হন আপনারা, ছাত্র-জনতা প্রস্তুত আছে।’
শহীদ নূর হোসেনের স্মরণে এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে ৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে ১০ নভেম্বর বিকেলে ৩টার দিকে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয়া হয়। গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে নেতাকর্মীদের জড়ো হওয়ার আহ্বান জানায় দলটি।
তাদের কর্মসূচি প্রতিহত করতে গুলিস্তানে শনিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকেই অবস্থান নেয় বিএনপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠন। রাতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ কর্মী সন্দেহে দুজনকে মারধরের পর পুলিশে দেয়া হয়।
Discussion about this post