নিজস্ব প্রতিবেদক
বেক্সিমকো গ্রুপের তত্ত্বাবধানে তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক রুহুল আমিনকে এ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। যিনি ক্ষমতার পালাবদলের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কারাগারে থাকা সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন গ্রুপের আর্থিক ব্যবস্থাপনা তদারকিসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। রোববার (১০ নভেম্বর) বাংলাদেশ পর্ষদ সভায় বেক্সিমকোতে তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ দেয়ার বিষয়টি অনুমোদন দেয়া হয়।
হাইকোর্টের এক আদেশের প্রেক্ষাপটে এ শিল্পগ্রুপে তত্ত্ববাধয়ক নিয়োগ দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্ব পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে নির্বাহী পরিচালক রুহুল আমিন গণমাধ্যমকে বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক আমাকে তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।
উপমহাদেশের কোনো গ্রুপ অব কোম্পানিতে তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ দেয়ার নজির না থাকার তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, বেক্সিমকো দেশের অন্যতম বড় একটি গ্রুপ। এই গ্রুপের অনেক কোম্পানি রয়েছে। গ্রুপটির সকল কোম্পানি কীভাবে এটির কার্যক্রম ঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারে সে জন্য আমাকে তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আগের সরকারের মন্ত্রীদের মধ্যে শুরুর দিকেই গ্রেপ্তার হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। একাধিক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে তিনি এখন কারাগারে।
বেক্সিমকো গ্রুপের এই ভাইস চেয়ারম্যান কারগারে থাকার সময় গত ৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট এ গ্রুপের প্রতিষ্ঠান দেখাশোনা করতে ছয় মাসের জন্য তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ এবং এই গ্রুপের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংককে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।
একইসঙ্গে সালমান এফ রহমান বিভিন্ন ব্যাংক থেকে যত টাকা নিয়েছেন তা উদ্ধার করতে এবং বিদেশে পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেয়, যা বাংলাদেশ ব্যাংককে বাস্তবায়ন করে চার সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
এ দায়িত্ব পাওয়া নিয়ে রুহুল আমিন বলেন, বেক্সিমকো গ্রুপকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে দিতে হবে। কারণ এই গ্রুপের সাথে অনেকের কর্মসংস্থান জড়িত। এটি অর্থনীতির সাথে সম্পির্কিত। লক্ষাধিক কর্মী এখানে কর্মরত রয়েছেন। তাছাড়া এ গ্রুপ থেকে সরকারও রেভিনিউ (রাজস্ব) পায়।
পুরোপুরি দায়িত্ব নেয়ার পর টাকা পাচার সংক্রান্ত কোন ঘটনা শনাক্ত করতে পারলে তিনি বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) জানাবেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশনা দেবেন বলেও তুলে ধরেন।
Discussion about this post