ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে চলছে ‘থার্ড ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিট’। সেখানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (১৭ আগস্ট) ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন তিনি।
এর আগে এই সামিটে যোগ দিতে ড. ইউনূসকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) দুই দেশের নেতার মধ্যে এক ফোনালাপে এই আমন্ত্রণ জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, তখনই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি সম্মেলনে যোগ দেয়ার বিষয়ে রাজি হন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ভারত ২০২৩ সালের ১২-১৩ জানুয়ারি প্রথম ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিট এবং ২০২৩ সালের ১৭ নভেম্বর দ্বিতীয় ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিট ভার্চুয়াল ফরম্যাটে আয়োজন করেছিল। শীর্ষ সম্মেলনের আগের দুটি সংস্করণেই গ্লোবাল সাউথ থেকে ১০০টিরও বেশি দেশ অংশগ্রহণ করেছে।
১৭ নভেম্বর হওয়া ‘দ্বিতীয় ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিট’ ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে গণভবন থেকে যোগ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শুক্রবার (১৬ আগস্ট) এক্সে একটি পোস্ট দিয়েছেন।
পোস্টের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ফোনালাপে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে হিন্দুসহ সব সংখ্যালঘুর পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশ্বাস দিয়েছেন।
এক্সে দেয়া পোস্টে ফোনালাপের বিষয়টি তুলে ধরে মোদি লিখেছেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনূসের সঙ্গে বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে। একটি গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ এবং অগ্রগামী বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সমর্থনের বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেছি। তিনি আমাকে বাংলাদেশের হিন্দুসহ সকল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ছাত্র বিক্ষোভ ও গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের পর দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। তবে শেখ হাসিনা ভারতেই থাকবেন না কি অন্য কোথাও আশ্রয় নেবেন, তা এখনো পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।
Discussion about this post