মেটার মালিকানাধীন বিশ্বের জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। যত সময় যাচ্ছে ততই বেড়ে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপ নির্ভরশীলতা। আর সেটাকে কাজে লাগিয়েই নিত্যনতুন ফাঁদ পাতছে হ্যাকাররা। এবার বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করলেন ইউজারদের। জানিয়ে দিলেন, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপকে কাজে লাগিয়ে মানুষকে টোপ দিয়ে সর্বস্বান্ত করার চেষ্টা হচ্ছে।
২০০ কোটিরও বেশি ইউজার রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপে। ফলে তা যে হ্যাকারদের প্রিয় চারণভূমি হয়ে উঠবে তা স্বাভাবিক। ব্রিটিশ ন্যাশনাল সাইবারক্রাইম সেন্টারের তরফে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, এবছর ইতিমধ্যেই ৬৩০টিরও বেশি প্রতারণার ঘটনা সামনে এসেছে যেখানে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপগুলোকেই নিশানা করা হয়েছে। প্রতারকরা সেখানে ‘বৈধ’ সদস্য হওয়ার ভান করে ইউজারদের কাছ থেকে ‘সংবেদনশীল’ তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা সকলকে সতর্ক করে জানাচ্ছেন, কোনও ধরনের সন্দেহজনক মেসেজ থেকে দূরে থাকতে। কেউ যদি অযাচিত কোনও উপদেশ দিতে চায় তাহলেও সাবধান। হতেই পারে সেটা একটা ফাঁদ। এবং এই ধরনের ক্ষেত্রে দ্রুত কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাতে হবে, যাতে তথ্য চুরি রোখা যায়।
কী ধরনের ফাঁদ পাতে হ্যাকাররা? সাধারণত, দেখা যায় কোনও গ্রুপের সদস্য একটি হোয়াটসঅ্যাপ অডিও কল পেলেন। সেখানে তাকে বলা হয়, ফোনের ওপারের ব্যক্তিও ওই গ্রুপের একজন সদস্য। এর পর তাঁকে একটি ওয়ান টাইম পাসকোড পাঠিয়ে ভিডিও কলে যোগ দিতে বলা হয়।
আসলে ওই কোড রিসিভ করলেই ইউজারের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে হ্যাকারদের কাছে। আর তার পরই একটি টু-স্টেপ ভ্যারিফিকেশনের সাহায্যে সেই অ্যাকাউন্টকে পাকাপাকি ভাবে হাতিয়ে নেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট ইউজার হাজার চেষ্টা করলেও আর সেই অ্যাকাউন্ট ফেরত পাবেন না। এবার হ্যাকাররা গ্রুপের সদস্য বা ওই ইউজারের কনট্যাক্টসে থাকা অন্যদের থেকেও ‘বিপদে পড়ার’ ভান করে টাকা হাতানোর ছক কষে। এই পরিস্থিতিতে সতর্ক থাকার বার্তাই দিচ্ছেন হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ। কোনও ধরনের সন্দেহজনক মেসেজ রিসিভ না করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
Discussion about this post