লাইফস্টাইল ডেস্ক
অনেকেই ঘুম থেকে ওঠেই খালি পেটে পানি পান করেন। সকালে ঘুম থেকে উঠেই কিংবা বিকেলে খালি পেটে পানি পানের অনেক উপকারিতা রয়েছে। তবে আপনি কি জানেন, স্বাভাবিক পানি পানের পাশাপাশি কুসুম গরম পানি পানেও রয়েছে অসংখ্য উপকারিতা।
এ কারণে স্বাস্থ্য সচেতন অনেকেই নিয়মিত কুসুম গরম পানি নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। নিয়মিত কুসুম গরম পানি খাওয়ার অভ্যাসে অনেক সমস্যার সমাধান মেলে।
এ বিষয়ে ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশানে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা বলছে, শীত কিংবা গ্রীষ্মে গরম পানি খাওয়ার কোনো অপকারিতা নেই। বরং রয়েছে নানা উপকারিতা। তবে এর জন্য বেশি গরম পানি খাওয়া যাবে না। শুধুমাত্র ঈষদুষ্ণ বা কুসুম গরম পানিতেই শরীরে ক্ষতি না হয়ে মিলবে অসংখ্য উপকারিতা।
শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক এমনকি গর্ভাবস্থাতেও এ উপকারিতা পাওয়া যায়। ডায়েটেশিয়ানদের মতে, নিয়মিত ঈষদুষ্ণ পানি খাওয়ার অভ্যাসে মেটাবলিজম বাড়িয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে, কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়, ব্লাড সার্কুলেশন বাড়ে, হজম শক্তি বাড়ে, বুকব্যথা এবং সর্দিকাশি হওয়ার শঙ্কা থাকে না। বন্ধ নাক খুলে যায়।
প্রাকৃতিক উপায়ে শরীর পরিষ্কার করে বিষাক্ত টক্সিন বের করতেও ভালো কাজে আসে হালকা বা কুসুম গরম পানি খাওয়ার অভ্যাস। এতে ত্বকের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। আপনি কি জানেন? নিয়মিত কুুসুম গরম পানি খাওয়ার অভ্যাসে ত্বকে বয়সের ছাপ কিংবা বলিরেখা সহজে পড়তে পারে না।
যারা দুশ্চিন্তায় ভুগছেন, ঠিক সময়ে ঘুমাতে পারেন না কিংবা মুখে ব্রণের সমস্যা কোনোভাবেই সারছে না তারা নিয়মিত কুসুম গরম পানি খাওয়ার অভ্যাস করুন। একমাসেই আপনার মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবেন।
চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি কিংবা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতেও দারুণ কাজে আসে কুসুম গরম পানি খাওয়ার অভ্যাস। তাই গরম আবহাওয়াতেও সকালে কিংবা বিকেলে অন্তত ১ গ্লাস কুসুম গরম পানি খাওয়ার অভ্যাস শুরু করুন। দিনে ২ গ্লাস কুসুম গরম পানি খাওয়ার অভ্যাস আপনার জীবনে দ্রুত ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
Discussion about this post