লাইফস্টাইল ডেস্ক
আপনি প্রতিদিন একটি আপেল খান। এতে আপনার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। সেই সঙ্গে হৃৎপিণ্ড সুস্থ থাকবে, হজমশক্তি বৃদ্ধি করবে এবং ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আর তাই আপেলে থাকা পুষ্টিগুণ অনেক রোগ থেকে রক্ষা করে এবং আপনার ত্বক ও চুলের জন্য খুবই উপকারী।
প্রতিদিন একটি আপেল ডাক্তারকে দূরে রাখে— এই প্রবাদ বাক্যটি শুধু বলার জন্য নয়, আপনার শরীর সুস্থ থাকার জন্য। প্রতিদিন একটি আপেল খেলে আপনার স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এতে অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কিন্তু সবসময় মনে রাখবেন, আপেলের বেশিরভাগ পুষ্টি তার খোসায় থাকে, তাই এটি খোসাসহ খাবেন। আজ আমরা আপনাদের এখানে সবচেয়ে সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দিতে যাচ্ছি যে, প্রতিদিন একটি আপেল খেলে আসলে কী হয়। জেনে নিন সেই তথ্য—
১. প্রতিদিন একটি আপেল খেলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আপেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি সর্দি-কাশি ও সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
২. হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখে আপেল। এতে আছে দ্রবণীয় ফাইবার (সলিউবল ফাইবার), যা আপনার শরীরের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এটি হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক রাখে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৩. হজমশক্তি বৃদ্ধি করে আপেল। এতে থাকা ফাইবার হজমশক্তি উন্নত করে। পেকটিন ফাইবার পেটে ভালো ব্যাকটেরিয়া বাড়ায়, যার ফলে হজমশক্তি উন্নত হয়। এ ছাড়া আপেল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। প্রতিদিন একটি আপেল আপনার পেট পরিষ্কার করতেও সাহায্য করে।
৪. একটি আপেল আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে। আপেল কম ক্যালোরিযুক্ত ফল। তবে এটি ফাইবার সমৃদ্ধ, যার ফলে দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধা লাগে না। এটি খাবারের মাঝে খেলে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস কমে যায়।
৫. আপেল ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের আপেলের শর্করা ধীরে ধীরে শরীরে মুক্তি পায়, যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে।
৬. আপেল মস্তিষ্কের জন্য উপকারী। আপেলে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ক্যোয়ারসেটিন মস্তিষ্কের কোষগুলোকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এটি স্মৃতিশক্তি বাড়ায় এবং নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ যেমন— আলঝেইমার ও ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমায়।
৭. আপেল ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী। আপেলে থাকা ভিটামিন এ, সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বককে উজ্জ্বল এবং চুলকে শক্তিশালী করে। এটি বার্ধক্যের লক্ষণগুলোকে ধীর করে।
৮. আপেল হাড়কে শক্তিশালী করে তোলে। আপেলে থাকা বোরন ও ক্যালসিয়াম হাড়ের শক্তি বাড়ায়। এটি বিশেষ করে নারীদের জন্য উপকারী।
৯. আপেল ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। আপেলে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরে ফ্রি র্যাডিকেল কমিয়ে ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
১০.আপেল দাঁত পরিষ্কার করে। আপেল চিবানোর ফলে দাঁত ও মাড়ির ভালো পরিষ্কার হয়। এটি দাঁতে প্লাক জমতে দেয় না এবং মুখের দুর্গন্ধ কমিয়ে দেয়।
Discussion about this post