নিজস্ব প্রতিবেদক :
গত দুই দিনে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, আদাবর ও উত্তরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোট ১৮ জন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে র্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি খান আসিফ তপু ও শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ডিএমপির মিডিয়া শাখা থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
মোহাম্মদপুর ও আদাবর এলাকার গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আদাবর থানার দস্যুতা মামলার প্রধান আসামি মো. মেহেদী ওরফে ছিনতাইকারী মেহেদী (২৮), মো. মাইনুদ্দিন (২২), মো. শরীফ ওরফে মোহন (৩০), মো. মইন আলী (২০), অপরাজিত আহমেদ অমিত (২২), মো. মাসুম (৩৪), মো. চনু মিয়া (২৮), মো. শাহিন (২৭), মো. ইব্রাহিম খলিল (২২) এবং আকাশ (১৯)।
এ বিষয়ে র্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি খান আসিফ তপু বলেন, শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা মোহাম্মদপুর ও আদাবর এলাকার বিভিন্ন স্থানে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্রসহ প্রস্তুতি নিচ্ছে- এমন খবর পেয়ে র্যাব-২ অভিযান চালায়। এ সময় একজন দস্যুতা মামলার আসামিসহ ১০ জন ছিনতাইকারীকে দুটি দেশীয় অস্ত্র, একটি চাপাতি, তিনটি চাকু ও চারটি ফোল্ডিং চাকু গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃত মেহেদী জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তিনি সোহেল ওরফে মাউরা সোহেলের অন্যতম সহযোগী। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানায় একাধিক দস্যুতা মামলা রয়েছে।
র্যাব-২ এর এই সহকারী পরিচালক বলেন, গ্রেপ্তার মেহেদী চাঁদাবাজি, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা ও ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। এ ছাড়া গ্রেপ্তার অন্যান্য ছিনতাইকারীরাও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পথচারীদের দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে নগদ টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার, মুঠোফোনসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত।
তিনি আরও বলেন, আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে গ্রেপ্তারকৃতদের মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
অপরদিকে, উত্তরা এলাকায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. নুরুল আমিন (২২), শাকিব হোসেন (২১), মো. পারভেজ আহমেদ জুয়েল (৩৮), মো. কবির হোসেন (২৪), মোরশেদ আলম (৩০), আকাশ মোল্লা (২৬), রাকিব (১৯) ও মো. জিয়া (২০)।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) ভোরে তাদের আব্দুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা ও ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের ফ্লাইওভার-সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।
উত্তরা পশ্চিম থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ জানুয়ারি রাতে উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের কামারপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ পাঁচজন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় অজ্ঞাতনামা কয়েকজন কৌশলে পালিয়ে যায়। ওই ঘটনায় ২৩ জানুয়ারি উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়। মামলাটি তদন্তকালে গ্রেপ্তারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তির সহায়তায় ছিনতাইকারী চক্রের আরও আটজন সক্রিয় সদস্যকে শুক্রবার শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) ভোরে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ আরও জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা পেশাদার ছিনতাইকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকাসহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত। এ ছাড়া উত্তরা-পশ্চিম থানায় রুজুকৃত ওই ছিনতাইয়ের মামলার ঘটনায় তারা জড়িত ছিল বলেও প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।
Discussion about this post