নিজস্ব প্রতিবেদক
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর ধোলাইখাল এলাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে এলাকাবাসীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থী’সহ ৭ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (৩ মার্চ) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, স্থানীয় যুবদল নেতার নেতৃত্বে হামলা করা হয়। এক পর্যায়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সেখানে অবস্থান নিলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
সড়কের নির্মাণাধীন ঢালাইয়ের ওপর হাঁটার অভিযোগে সোমবার রাত ১১টার দিকে ধোলাইখালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান সম্রাটকে মারধর করেন স্থানীয় কয়েকজন যুবক। তাঁকে আটকে রাখা হয়েছে, ক্যাম্পাসে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে কয়েক শ শিক্ষার্থী সেখানে জড়ো হন এবং স্থানীয় যুবদল নেতার নেতৃত্বে এ সময় হামলার অভিযোগ ওঠে।
অল্প সময়ের মধ্যেই রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকা। এতে পাঁচ থেকে ছয়জনের মতো শিক্ষার্থী আহত হন। তাঁদের নেয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে।
শিক্ষার্থীদের দাবি, সমস্যা শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করতে সেখানে গেলে, স্থানীয় যুবদল নেতার নেতৃত্বে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করা হয়। হামলাকারীদের দ্রুত আটক করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, নবাবপুরের ব্যবসায়ী এবং যুবদলের নেতা মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে দেড় থেকে দুই শ মানুষের ওপর ওখানে হামলা করা হয়। যুবদলের বিভিন্ন ব্যানারে তার নাম যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে উল্লেখ করা আছে। সেখান থেকে তাকে শনাক্ত করা গেছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে বিপুল পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ছিলেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা।
পুলিশের ডেমরা জোনের এসি মোহাম্মদ নাসিম উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় মামলা হলে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
দাবি অনুযায়ী হামলাকারীদের আটক না করায় রাতভর ধোলাইখালে অবস্থান নেয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের আশ্বাসে এলাকা ছেড়ে যান তাঁরা।
Discussion about this post