নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে সেনা অভ্যুত্থান বা অস্থিতিশীলতার যে খবর সম্প্রতি দ্য ইকোনমিক টাইমস, ইন্ডিয়া টুডেসহ কয়েকটি ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে- তা শুধু ভিত্তিহীনই নয়, গভীরভাবে দায়িত্বজ্ঞানহীন।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ একটি স্থিতিশীল ও গণতান্ত্রিক দেশ, যার সশস্ত্র বাহিনীসহ শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান আছে- যারা ধারাবাহিকভাবে জাতীয় স্বার্থ রক্ষা, জনগণ এবং সংবিধান রক্ষায় পেশাদারিত্ব এবং প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছে। এই ‘চাঞ্চল্যকর’ প্রতিবেদনগুলো, যা সম্পূর্ণরূপে বাস্তব প্রমাণবিহীন, এমন একটি এজেন্ডা দ্বারা চালিত বলে মনে হয়; যা সত্যের চেয়ে অনুমানকে অগ্রাধিকার দেয়, আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার চেতনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
এ ধরনের বক্তব্য প্রচার করে এসব গণমাধ্যম শুধু সাংবাদিকতার সততাকে বিপন্নই করছে না, দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে অহেতুক উত্তেজনা ছড়ানোর ঝুঁকিও তৈরি করছে। ভয়ভীতি ও বিভেদমূলক প্রচারণার শিকার হওয়ার চেয়ে ভারত ও বাংলাদেশ উভয় দেশের জনগণেরই আরও বেশি কিছু প্রাপ্য। গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর নৈতিক সাংবাদিকতা মেনে চলা, সত্যতা যাচাই করা এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষতি করে- এমন যাচাইবিহীন দাবি ছড়ানো থেকে বিরত থাকা জরুরি।
আমরা এই মিডিয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই ধরনের গল্পগুলো প্রত্যাহার করতে, ব্যাখ্যা জারি করতে এবং দায়িত্বশীল প্রতিবেদনের প্রতি পুনরায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
ফাটল সৃষ্টি করাই যদি এ ধরনের প্রচারণাবাদী উদ্দেশ্য হয়, তাহলে উভয় দেশেরই দ্ব্যর্থহীনভাবে তাদের ঘৃণা, বিলোপ ও বদনাম করা উচিত। বাকস্বাধীনতার দোহাই দিয়ে এ ধরনের অপপ্রচার উপেক্ষা করা আক্রমণাত্মক ভুল তথ্যের প্রতি সহনশীলতা।
এ ধরনের মিথ্যা তথ্য প্রচারণা হস্তক্ষেপ না করার নীতিকে ক্ষুণ্ন করে এবং সম্মানকে মারাত্মকভাবে হ্রাস করে। এ ছাড়া জড়িত মিডিয়া আউটলেটগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতাও কমায় বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
Discussion about this post