নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় তিনবছর আগে আলোচিত টিপকাণ্ডের ঘটনায় তেজগাঁও কলেজের শিক্ষিকা ড. লতা সমাদ্দার ও তার স্বামী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচ্যকলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মলয় মালাসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ শোবিজের আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মানহানির মামলা করেছেন চাকরিচ্যুত সেই কনস্টেবল নাজমুল তারেক।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ্ ফারজানা হকের আদালতে মামলার আবেদন করেন তিনি। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে শেরেবাংলা নগর থানাকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
লতা সমাদ্দার-মলয় মালা দম্পতি ছাড়াও মামলার অন্য আসামিরা হলেন- অভিনেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য সুবর্ণা মোস্তফা, নাট্য অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন, সাজু খাদেম, প্রাণ রায়, সায়মন সাদিক, মনোজ প্রামাণিক, স্বাধীন খসরু, চয়নিকা চৌধুরী, আশনা হাবিব ভাবনা, জ্যোতিকা জ্যোতি, উর্মিলা শ্রাবন্তী কর, দেবী সান, নাজনীন নাহার চুমকি, সুষমা সরকার, কুসুম সিকদার।
মামলায় এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০২২ সালে টিপ পরা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদের সময় এসব তারকারা ইচ্ছাকৃতভাবে পুলিশের মানহানি ঘটিয়েছেন। তারা সামাজিক মাধ্যমে ছবি ও বক্তব্য দিয়ে নাজমুল তারেকের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়িয়েছেন, যার ফলে তার পেশাগত ও সামাজিক জীবনে মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২ এপ্রিল রাজধানীর ফার্মগেটে একটি মোটরবাইক লতা সমাদ্দারের পায়ে লাগার জেরে পুলিশের পোশাক পরা ব্যক্তি তাকে ‘টিপ পরছোস কেন’ বলে কটূক্তি করেন- এমন অভিযোগ তুলে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দেন তিনি। এরপর বিষয়টি ভাইরাল হয়ে যায়। শোবিজ অঙ্গনের অনেক তারকা লতার পক্ষ নিয়ে টিপ পরা ছবি পোস্ট করে প্রতিবাদে অংশ নেন। ঘটনার জেরে নাজমুল তারেক চাকরি হারান। পরে তিনি আইনি লড়াইয়ে যান এবং চাকরি ফেরতের আবেদনও করেন। বর্তমানে সেই মামলা প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন। পাশাপাশি পুলিশের মহাপরিদর্শকের কাছেও চাকরি পুনর্বহালের আবেদন করেছেন তিনি।
Discussion about this post