আন্তর্জাতিক ডেস্ক
সদ্য যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন সফর সেরে দেশে ফিরেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর পরই সে দেশের পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন তিনি। সেখানে ইউক্রেনের পাশাপাশি আলোচনায় এসেছে বাংলাদেশ প্রসঙ্গতও। গতকাল সোমবার (২৬ আগস্ট) আমেরিকার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপের পর নরেন্দ্র মোদি নিজেই এই কথা জানিয়েছেন। খবর আনন্দবাজারের।
এক্স হ্যান্ডলে মোদি লিখেছেন, ‘আমরা বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেছি এবং দ্রুত স্বাভাবিকতা পুনরুদ্ধারের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্ব দিয়েছি। জোর দিয়েছি, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে হিন্দুদের নিরাপত্তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপরে।’
এর আগে গত ১৫ আগস্ট ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দিল্লির লালকেল্লায় দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণে মোদি এ প্রসঙ্গে উদ্বেগ জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘১৪০ কোটি ভারতীয় হিন্দু বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। ভারত সর্বদাই বাংলাদেশের শুভাকাঙ্ক্ষী। ভারত বাংলাদেশের অগ্রগতি চায়। আমরা আশা রাখি বাংলাদেশের পরিস্থিতি শিগগির স্বাভাবিক হবে। ভারতীয়রা চায়, বাংলাদেশে হিন্দু-সহ সমস্ত সংখ্যালঘুর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হোক।’
সোমবার বাইডেনের সঙ্গে টেলিফোন আলাপচারিতার ইউক্রেন প্রসঙ্গও এসেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এক্স পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘ইউক্রেনের পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে আমাদের বিশদ মতবিনিময় হয়েছে।’
ঘটনাচক্রে, যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেই চলতি সপ্তাহে ইউক্রেনের রাজধানী কিভে গিয়ে সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমর জ়েলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মোদি। ১৯৯১ সালের পর এই প্রথম ভারতের কোনো প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেনে গেলেন।
গত ৮ জুলাই ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নিয়ে রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন মোদি। মনে করা হচ্ছে, কূটনৈতিক ক্ষেত্রে ভারসাম্যের বার্তা দিয়েই এ বার রাশিয়ার শত্রু দেশে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সমালোচকেরা অবশ্য বলছেন, আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দুনিয়াকে সন্তুষ্ট করতেই তার ওই সফর।
Discussion about this post