নিজস্ব প্রতিবেদক
অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশকে পুঁজিবাজারের পাশাপাশি ব্যাংকিং ও রাজস্ব খাত সংস্কারে সহায়তা করতে তাদের গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
মঙ্গলবার ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে তার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে ব্রিটিশ দূত এ আগ্রহের কথা জানান বলে জানিয়েছেন ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বৈঠকের পর অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাজ্য ব্যাংকিং খাতের সংস্কার, রাজস্ব সংস্কার এবং পুঁজিবাজার সংস্কারের মতো সংস্কারে বাংলাদেশকে সাহায্য করতে ইচ্ছুক।
‘এগুলি আমাদের জন্যও খুব তাৎক্ষণিক উদ্বেগ। কারণ, আমরা যদি সেসব সংস্কার না করি তাহলে এটা আমাদের জন্য কঠিন হবে,’ বলেন তিনি।
উপদেষ্টা জানান, তারা দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
‘ আমরা চাই ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতি হোক। যুক্তরাজ্য সরকার অতীতে খুব সহায়ক ছিল এবং আমি আশা করি, আগামী দিনে তারা সহায়ক হবে। আমরা তাদের সাহায্য এবং সহযোগিতার জন্য উন্মুখ,’ তিনি বলেনভ
উভয়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা করেছেন জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, যুক্তরাজ্য মূলত অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করছে। ‘আমরা এগুলোও চালিয়ে যাব। বেসরকারি খাতের বিনিয়োগও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্রিটেনের বড় বড় ব্যবসায়ীরা এখানে বিনিয়োগ করেছে,’ যোগ করেন তিনি।
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, তিনি বাংলাদেশ থেকে আমদানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে বলেছেন, কারণ বাংলাদেশ মূলত যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় দেশগুলোতে আরএমজি আইটেম রপ্তানি করে।
তিনি আরও বলেন, আরও বেশি বেসরকারি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশে ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করতে হবে।
‘এর জন্য শর্ত হলো ব্যবসার পরিবেশ, ব্যবসা করার সহজতা মানে আমাদের ব্যবসা করার পরিবেশ ঠিক করতে হবে, অন্যথায় বেসরকারি খাত আসবে না,’ তিনি বলেন।
আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে উল্লেখ করে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে অত্যন্ত শক্তিশালী অর্থনৈতিক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক রয়েছে।
Discussion about this post