লাইফস্টাইল ডেস্ক
গতিশীল এ জীবনে সময় কোথায়। কর্মব্যস্ততার ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে সম্পর্ক, নিঃশর্ত ভালোবাসা আর নির্ভরতার সেই চিরচেনা আশ্রয়—পরিবার। তাই মনে হয় কবি জীবনানন্দ দাশ বলে গেছেন, ‘মাকে মনে পড়ে, মনে পড়ে ঘর, নদীর ওপারে ছিল সে ঘর’।
তবে আজ থামুন। সময়টা থমকে যাক। কোলাহল ভুলে, ক্লান্ত মুখে শহর থেকে ফিরে আসুন ঘরের দিকে। কারণ আজ বিশ্ব পরিবার দিবস। প্রতিবছর ১৫ মে বিশ্বজুড়ে পালিত হয় দিনটি—পরিবারের গুরুত্ব স্মরণে, মানব সম্পর্কের বন্ধন উদ্যাপনে।
সারাদিন কর্মব্যস্ততা শেষে সবার ফেরার ঠিকানা পরিবার। একজন মানুষ হয়তো তার জীবনে সবচেয়ে বেশি সময় কাটায় তার পরিবারের সঙ্গে। পরিবার কেবল রক্তের সম্পর্ক নয়—এটি এক চেনা আশ্রয়, ভরসার জায়গা, জীবনের প্রতিটি সঙ্কটে পাশে থাকার সেই নির্ভর পুরোনো আশ্রয়। অফিস শেষে ঘরে ফেরার অপেক্ষা, ছোট্ট সন্তানটির হাসি, মায়ের অপেক্ষার চোখ, কিংবা চুপচাপ বসে থাকা বাবার পাশে বসে থাকা—এই দৃশ্যগুলোই জীবনের আসল অর্থ।
দ্রুতগতির জীবনে আজ আমরা এতটাই ব্যস্ত হয়ে উঠেছি যে, একই ছাদের নিচে থেকেও অনেক সময় পরস্পরের মুখোমুখি হওয়ার সময় হয় না। অথচ, এই পরিবারের পরেই তো শূন্যতা। তাই আজকের দিনটিকে হোক উপলক্ষ—একসঙ্গে বসে খাওয়ার, গল্প করার, পুরোনো অ্যালবাম খুলে দেখা, পুরোনো স্মৃতি জাগিয়ে তোলা।
১৯৯৩ সালে বিশ্বজুড়ে পরিবারের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে ও পরিবারের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে জাতিসংঘ ১৫ মে আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস পালনের ঘোষণা করে। দিবসটি উপলক্ষে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও বিশ্ব শান্তি ও সমৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে পরিবারের গুরুত্ব তুলে ধরতে সভা-সমাবেশ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, র্যালি জাতীয় নানাবিধ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
তাই আজকের দিনে—এক কাপ চা আর সময় নিয়ে ফিরে আসুন সেই মানুষগুলোর কাছে, যাদের ভালোবাসা নিঃশর্ত, যাদের সঙ্গে থাকা মানেই নিজের মতো থাকা। পরিবার কখনও নিখুঁত হয় না, কিন্তু সেটাই আমাদের সবচেয়ে আপন জায়গা।
শুধু আজ নয়, প্রতিদিন পরিবারকে দিন সময়। কারণ দিনশেষে আমরা সবাই ফিরি সেই এক ঠিকানায়—ঘরে।
Discussion about this post