নিজস্ব প্রতিবেদক
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বারবার অনুরোধ করে টিকটক আসক্তি থেকে বিরত রাখতে না পেরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন শহিদুল ইসলাম ওরফে কসাই শিপন (৪০) নামে এক লোক।
শনিবার রাতে রাজধানীর সদরঘাট থেকে শিপনকে গ্রেফতার করার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) এসব কথা জানান।
রোববার দুপুর ১২টায় ফতুল্লার সাইনবোর্ড এলাকার পিবিআই জেলা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. মোস্তফা কামাল রাশেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিহত লাকি আক্তার (২৬) পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানার সানেশ্বর গ্রামের সাত্তার হাওলাদারের মেয়ে।
পুলিশ সুপার বলেন, ফতুল্লা রেলস্টেশন এলাকায় ফজলু মিয়ার বাড়িতে শিপন তার স্ত্রী লাকি আক্তার ও এক ছেলে, এক মেয়েকে নিয়ে ভাড়ায় বসবাস করতেন। সন্তানরা মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে। শিপন ফতুল্লা বাজারে কসাই কাজ করেন।
শিপনের অভিযোগ, তার স্ত্রী লাকি আক্তার বাসায় থেকে সবসময় মোবাইলে টিকটক নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাতেন। বিষয়টি শিপনের কাছে বিরক্তিকর মনে হত। এ নিয়ে তাদের সংসারের কলহের সৃষ্টি হয়। সন্তান দুটি মাদ্রাসায় পড়ে এজন্য লাকিকে টিকটক দেখা ছেড়ে দেওয়ার জন্য একাধিকবার অনুরোধ করেন শিপন। কিন্তু লাকি তার কথা না শুনে মোবাইল নিয়ে টিকটকে ব্যস্ত থাকেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কয়েকবার লাকিকে মারধর করেছেন শিপন।
ঘটনার দিন সোমবার (১৯ মে) সন্ধ্যায় শিপন বাসায় এসে স্ত্রীর সঙ্গে টিকটকের বিষয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। তখন তাদের ছেলে ও মেয়ে মাদ্রাসায় ছিল। তর্কের একপর্যায়ে লাকিকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন শিপন। পরে ঘরের বাইরে থেকে দরজায় তালা লাগিয়ে মাদ্রাসা থেকে সন্তানদের নিয়ে পালিয়ে যান।
পরে শিপন শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে ফোন করে লাকির মৃত্যুর সংবাদ জানান। এ ঘটনায় থানা পুলিশের পাশাপাশি পিবিআই ছায়া তদন্ত করে।
এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে শিপন একাই জড়িত বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
Discussion about this post