নিজস্ব প্রতিবেদক
ছুটির দিনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১৪ কিলোমিটার জুড়ে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন পরিবহনের যাত্রী ও চালকরা। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সকাল ১০টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সানারপাড় থেকে লাঙ্গলবন্দ এলাকা পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্টে এ যানজট দেখা যায়।
যাত্রী ও চালকরা জানান, মাত্র ১০ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে তাদের সময় লেগেছে ১ ঘণ্টারও বেশি। পাশাপাশি সকাল থেকে তীব্র রোদে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। পাশাপাশি ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকা পড়ে বাস, ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানসহ বিভিন্ন গণ-পরিবহন ও পণ্যবাহী পরিবহন চালকরাও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
সাইফুল ইসলাম নামে এক বাস যাত্রী বলেন, জরুরি একটি কাজের জন্য কুমিল্লা যাওয়ার উদ্দেশ্যে শিমরাইল থেকে বাসে উঠেছিলাম। দীর্ঘ সময় মহাসড়কে তীব্র যানজটে পড়ে হাঁপিয়ে উঠেছিলাম। তাই কুমিল্লা যাওয়ার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে বাসায় ফিরে যাচ্ছি।
আব্দুর রহমান নামের এক বাস চালক বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। জ্যামে পড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা একই জায়গায় থেমে থাকতে হচ্ছে। শুক্রবার ছুটির দিনেও একই অবস্থার শিকার হয়েছি। সাইনবোর্ড থেকে শিমরাইল পর্যন্ত ৬ থেকে ৭ মিনিটের পথ অতিক্রম করতে যানজটের কারণে এক ঘণ্টা সময় লেগেছে।
এ বিষয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হক বলেন, সকাল ৭টার দিকে লাঙ্গলবন্দ এলাকায় মহাসড়কে একটি যানবাহন বিকল হয়ে পড়লে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি রাত থেকে বন্যাদুর্গতদের উদ্দেশ্যে ত্রাণ সামগ্রীর প্রচুর পরিমাণে গাড়ি চলাচল করছে। এছাড়া ছুটির দিন হওয়ায় সাধারণ মানুষের প্রাইভেটকার অধিক পরিমাণে চলাচল করছে। ফলে বিভিন্ন প্রকার যানবাহনের চাপ বেশি থাকায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
Discussion about this post