নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর আদাবরে পথরোধ করে দেশীয় অস্ত্র ঠেকিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা না নিয়ে অসাবধানতাবশত নিজের অজান্তে মোবাইল হারিয়ে গেছে মর্মে জিডি করিয়েছে পুলিশ। এমনকি ঘটনার দিন আইনি ব্যবস্থা না দিয়ে পরেরদিন থানায় যেতে বলেন দায়িত্বরতরা।
বুধবার (২৫ জুন) রাত পৌনে ১১টায় আদাবরের নবোদয় হাউজিং কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনের ব্রিজের ওপর এই ছিনতাই ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ের সিসি টিভি ফুটেজ গণমাধ্যমের হাতে এসেছে।
সেখানে দেখা যায়, বুধবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে তিন যুবক ব্রিজের পাশ দিয়ে বের হয়ে হেঁটে গিয়ে একটি রিকশাকে গতিরোধ করে এবং ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে প্রকাশ্যে তাদের কাছে থাকা মোবাইল-টাকা নিয়ে যায়। সে সময় আশেপাশে অনেক গাড়ি ও রিকশা থাকলেও প্রতিরোধে কেউ এগিয়ে আসেননি। এতে তারা মোবাইল টাকা নিয়ে সবার সামনে দিয়ে হেঁটে চলে যায়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ইব্রাহীম বলেন, বুধবার রাতে দোকানের কাজ শেষ করে আমি ও আরেক বন্ধু নাহিদ বাসায় ফিরছিলাম। নবোদয় হাউজিং খাল পাড়ে বড় মসজিদের সামনের ব্রিজে ওঠা মাত্রই তিনজন চাপাতি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমাদের রিকশা ঘেরাও করে। ওই সময় তারা আমাদের ধারালো অস্ত্রের উল্টো পিঠ দিয়ে মারধর করে। এরপর আমাদের পকেটে থাকা আইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্স মোবাইলসহ তিনটি দামি ফোন ও মানিব্যাগ নিয়ে যায়। তখন আমাদের চিৎকার শোনে আশপাশে কয়েকজন এলে আমরা তাদের সহায়তায় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল করে পুলিশের সহায়তা চাই।
তিনি আরও বলেন, এক সময় আদাবর থানা থেকে এসআই মনিরুজ্জামান নামে একজন এসে আশপাশে ও আমাদের সবার সঙ্গে কথা বলে আদাবর থানায় যেতে বলেন। পরে আমরা রাতেই থানায় যাওয়ার পর থানা পুলিশ ঘটনার সবকিছু শুনে আমাদের বৃহস্পতিবার সকালে থানায় যেতে বলে। থানায় যাওয়ার পর পুলিশ আমাদের অনলাইনে মোবাইল হারিয়ে গেছে মর্মে একটা সাধারণ ডাইরি (জিডি) করে নিয়ে যেতে বলে। আমরা তাদের কথামতো জিডি করে থানায় নিয়ে গিয়ে জিডি করি অথচ ওই রাত্রেই আমাদের দিয়ে মামলা করাতে পারতেন তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) জুয়েল রানা জানান, ঘটনাটি আমি আগে জানতে পারিনি। বিষয়টির খোঁজ নিয়ে খুব দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার করা হবে বলেও জানান তিনি।
Discussion about this post