এ জীবনে পথ চলতে গেলে একজন আর একজনের সহযোগিতা ছাড়া চলে না। জীবনে বড় হতে গেলে একজন সন্তানের যেমন মা-বাবার ত্যাগ অনুপ্রেরণা, শিক্ষা ছাড়া চলে না তেমনি একজন ছাত্রের সঠিক পদ্ধতিতে শিক্ষিত হওয়ার পথ একজন ভাল শিক্ষক ছাড়া উন্মোচন হয় না। এ সমাজে পথ চলতে গেলে অনেক বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়। কারণ থাকে পারিবারিক সমস্যা , কেউবা খুব অসুস্থ, কেউবা আর্থিক সমস্যায় ভুগছে, কারও বা ঘর বাড়ি নেই। এই সমাজে সব ধরনের মানুষেরই টিকে থাকতে হয় কারও না কারও সহযোগিতায়। এই সহযোগিতাটা কখনো এক তরফা হয় না। একজন কোন না কোন কাজ দিয়ে যাচ্ছে তার বদলে অন্যজন তাকে কোন সহযোগিতা করছে। আমাদের সমাজে নারীদের অনেক কষ্ট করতে হয় সংসারে । তার কিছু অর্জন করার পথটা অতটা সহজ নয় স্বামী , সন্তান, সংসার শামলিয়ে তাকে সমাজে চলতে হয়। নারী ও চায় শিক্ষিত হতে, পরিবার ও সমাজ, পৃথিবীকে কিছু দিতে। কিন্তু এই পথ চলতে তাকে অনেক বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়। যদি পরিবারের প্রতিটা সদস্য একে অপরকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে একজন নারীর অগ্রসর হওয়ার পথ খুব সহজ হয়। বিশেষ করে একজন স্বামীর তার স্ত্রীকে সহযোগিতা করার দায়িত্ব অনেক। পারিবারিক কিছু কাজকর্মের সহযোগিতার পাশাপাশি স্ত্রীকে মনোবল ও সাহস দিয়ে তার কাজকে অনেক সহজ করার পথ করে দিতে পারে একজন স্বামীই। তারপর আসে সন্তান ও পরিবারের অন্য সদস্যরা। কারণ একজন নারীর ঘরের শক্তিই তাকে কর্মক্ষেত্রে উদ্দীপনা যোগায়।তার মন ও থাকে শান্ত ও পরিতৃপ্ত। একে অপরের সহযোগিতা ছাড়া সামনে পথ চলা খুবই কঠিন। বিশেষ করে পরিবারের সদস্যরা একে অপরের যে কোন কাজে উৎসাহ ও অনুপ্রেরনা দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলে যে কোন কাজই খুব সহজ হয়ে যায়। আমরা অনেক সময়ই কোন বড় বড় কাজ করতে গেলে মানসিকও শারিরীকভাবে ভেঙ্গে পড়ি। কাজটি যেন তখন খুব কঠিন মনে হয়। ঠিক এই সময় পরিবারের সদস্যরা যদি সাহস দিয়ে ও সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসে তবে কঠিন কাজটি করতে আর তত বেগ পেতে হয় না। মনের জোর যেন অনেক বেড়ে যায়। স্বামী, স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে সবারই যার যার একটা ক্ষেত্র থাকে । সবাইকে তার নিজের ক্ষেত্রকে সম্মান জানতে হবে। নিজের জগৎটাকে পরিপূর্ণ করতে হবে ভাল কাজে সময় ব্যয় করে । তবে নিজের ক্ষেত্রটা যেটাই হোক না কেন পরিবারে সদস্যরা সবাই কিন্তু একই সূত্রই গাঁথা। তাই সবার জায়গা থেকে সবাইকে সহযোগিতা ও অনুপ্রেরণা দিয়ে একে অপরের হাত বাড়িয়ে দিলে পরিবারের সদস্যরা যেমন আত্নবিশ্বাস ফিরে পায় তেমনি পরিবারটাও হয় অনেক সুন্দর।
লেখক: ডা: কানিজ কাদীর
Discussion about this post