নিজস্ব প্রতিবেদক:
গুলশানে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গ্রেপ্তার আবদুর রাজ্জাক বিন সোলাইমান ওরফে রিয়াদের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সেনবাগে পাকা ভবন তৈরির অর্থ নিয়ে তার মা রেজিয়া বেগমের দেওয়া তথ্য সঠিক নয় বলে জানিয়েছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন বলেছে, আবদুর রাজ্জাক ওরফে রিয়াদ বা তার পরিবারকে তাদের পক্ষ থেকে কোনো অর্থ দেওয়া হয়নি।
আবদুর রাজ্জাক ওরফে রিয়াদ ঢাকার বেসরকারি প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তিনি বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি ২৭ জুলাই গুলশানে আওয়ামী লীগের নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদার টাকা আনতে গেলে রিয়াদসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর ওই দিন রাতে অনলাইনে ‘সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি/অনটনের মধ্যে বেড়ে ওঠা ছাত্রের বাড়িতে হঠাৎ উঠছে ভবন, এলাকায় নানা আলোচনা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
সেখানে হঠাৎ ভবন নির্মাণের অর্থের সংস্থান নিয়ে রিয়াদের মা রেজিয়া বেগম বলেন, বন্যার পর সরকারের কাছ থেকে চার বান্ডিল ঢেউটিন পেয়েছেন, সেগুলো বিক্রি করেছেন। আল-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন থেকে ৫০ হাজার টাকা পেয়েছেন। এসব টাকাও ঘরের কাজে ব্যয় করছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন বলেছে, তাদের রেকর্ড অনুযায়ী ওই ইউনিয়নে আবদুর রাজ্জাক ওরফে রিয়াদ, তার বাবা আবু রায়হান, অথবা তার মা রেজিয়া বেগম নামের কেউ আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের উপকারভোগীদের তালিকায় নেই। রিয়াদ বা তার পরিবারের কারও বিকাশ নম্বরে কোনো লেনদেনও তাদের রেকর্ডে নেই বলে জানিয়েছে আস-সুন্নাহ ফউন্ডেশন।
Discussion about this post