নিজস্ব প্রতিবেদক:
গাজায় পাঁচ বছরের নিচে প্রায় ১২ হাজার শিশু চরম অপুষ্টিতে ভুগছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, অনাহারের কারণেও গাজায় মৃত্যুর হার বাড়ছে।
জেনিভায় ডব্লিউএইচও’র সদরদপ্তরে গেব্রিয়াসুস বলেন, “জুলাই মাসে গাজায় চরম অপুষ্টিতে ভোগা পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় ১২ হাজার শিশুকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এক মাসে এই সংখ্যা রেকর্ড সর্বোচ্চ।”
চলতি বছরের শুরু থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত গাজায় পুষ্টিহীনতার কারণে অন্তত ৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৩৫ জন শিশু। এই শিশুদের মধ্যে ২৯ জনের বয়স পাঁচ বছরের নিচে ছিল।
জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ জানায়, জুন থেকে জুলাইয়ের মধ্যে পুষ্টিহীনতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া শিশুর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে; ৬,৩৪৪ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১,৮৭৭ জনে। এর মধ্যে প্রায় আড়াই হাজার শিশু ‘চরম পুষ্টিহীনতার’ শিকার।
ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক গাজার জন্য অবিলম্বে এবং ধারাবাহিকভাবে ব্যাপক মানবিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “সব সম্ভাব্য পথ ব্যবহার করে খাদ্য ও পুষ্টিসামগ্রী সরবরাহ বাড়াতে হবে।”
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ডব্লিউএইচও’র প্রতিনিধিত্বকারী কর্মকর্তা রিক পিপারকরন বলেন, “শিশু খাদ্য এবং পুষ্টিকর খাদ্যের মজুত খুবই সীমিত। পুষ্টিহীনতা ঠেকাতে বর্তমান ত্রাণ সহায়তা যথেষ্ট নয়। বাজারে প্রচুর সরবরাহ প্রয়োজন, খাদ্যে বৈচিত্র্য আনতে হবে।”
গাজায় চরম ক্ষুধা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক খাদ্য সংকট পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলো। সেখানে অনাহারে শিশুদের মৃত্যু ঘটছে এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত ছিটমহলটিতে মানবিক সহায়তা পৌঁছানো ক্রমেই কঠিন হয়ে পড়েছে।
সূত্র: বিডি নিউজ
Discussion about this post