লাইফস্টাইল ডেস্ক
সমাজে নানারকমের সম্পর্ক বিদ্যমান। তবে কিছু সম্পর্ক হয় জন্মসূত্রে। মায়ের সঙ্গে সন্তানের সম্পর্ক কিংবা ভাই-বোনের সম্পর্ক এমনই। ছেলেবেলা থেকে বেড়ে ওঠার যাত্রায় বাবা-মায়ের পর যে সবচেয়ে নিশ্চিন্তের আশ্রয় হয়ে ওঠে যে, সে সহোদর-সহোদরা। খুনসুটি, মান-অভিমান, বন্ধুত্ব, আনন্দ বা দুঃখ সব তার সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া হয়।
বয়সের সঙ্গে জীবনের নানা জটিলতা বাড়ে। তার প্রভাব পড়ে সম্পর্কেও। আসলে যেকোনো সম্পর্কের মূল ভিত্তি হলো বন্ধুত্ব। এই বন্ধুত্বে অভিমান জমলে সম্পর্কেও ঝড়ঝাপটা এসে লাগে। সম্পর্কেরও কিছু নিয়ম আছে। এসব নিয়ম মেনে চললে ভাইবোনের সম্পর্ক আরও মজবুত হয়।
আপনার কি ভাই বা বোনের সঙ্গে মান-অভিমান চলছে? অনেকদিন দুজনে মনখুলে কথা বলেন না? সম্পর্কে আন্তরিকতার জায়গা কেড়ে নিয়ে আত্মসম্মান বা অহংকার? এবার তবে সব সমস্যা সামলে নিন। কীভাবে ভাই-বোনের সঙ্গে অভিমান কমাবেন জানুন তার উপায়-
রাগ পুষে রাখবেন না
যেকোনো সম্পর্কে খারাপ লাগা কিংবা মনোমালিন্য হয়েই থাকে। তাই বলে সবকিছু মনের কোণে জমিয়ে রাখলে চলবে না। ছোটোখাটো বিষয়গুলো যত দ্রুত ভুলে যাবেন ততই সুন্দর থাকবে সম্পর্ক। ছোটখাটো ভুল বোঝাবুঝি পুষে রাখলে সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এর চেয়ে বরং একে-অন্যের সঙ্গে কোনো সমস্যা হলে সেটা কথা বলে মিটিয়ে নিন।
গুরুত্ব
সবার যে একই জিনিস পছন্দ হবে, এমন একেবারেই নয়। তাই বলে অপর পাশের মানুষের পছন্দ গুরুত্ব পাবে না, এমনটা ঠিক নয়। দুজনেই একে-অন্যের পছন্দকে গুরুত্ব দিন। এতে মনে ক্ষোভ, রাগ জমা হতে পারবে না। সম্পর্ক থাকবে সুন্দর।
কিছু বিষয় এড়িয়ে যান
যুক্তির লড়াইয়ে সবসময় যে জিততেই হবে, তার কোনো অর্থ নেই। তাই এমন কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা না করাই শ্রেয়, যেখানে মত পার্থক্য হতে পারে। প্রত্যেকেই ভিন্ন ভিন্ন মতে বিশ্বাসী। সবার মতকে সম্মান জানানো উচিত। ছোটোখাটো কিছু ব্যাপার এড়িয়ে চললে সম্পর্ক সুন্দর হবে।
Discussion about this post