স্পোর্টস ডেস্ক
ক্রিকেটারদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় দেখভাল করে থাকে ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)। গত বছরের আগস্টের পর থেকেই ক্রিকেটারদের এই সংগঠনটির কার্যক্রমে একপ্রকার স্থবিরতা নেমে এসেছে।
এরই মধ্যে নতুন করে কোয়াব সক্রিয় করতে তোড়জোড় চলছে। নতুনভাবে ঢেলে সাজাতে পূর্বের কমিটি স্থগিত রেখে একটি অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়। এরই ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কোয়াবের নির্বাচন।
জানা গেছে, আসন্ন নির্বাচনে থাকছে না সাধারণ সম্পাদক (সেক্রেটারি) পদ। নতুন করে গঠিত হতে যাওয়া কমিটিতে থাকবেন একজন সভাপতি, একজন সিনিয়র সহ-সভাপতি, একজন সহ-সভাপতি এবং আটজন কার্যনির্বাহী সদস্য।
আসন্ন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর। মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে দুপুর তিনটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে এই ভোটগ্রহণ। বর্তমান ১৩ সদস্যের অ্যাড-হক কমিটির মূল দায়িত্ব নির্বাচন আয়োজন করা। আসন্ন নির্বাচনের নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন ইফতেখার রহমান মিঠু।
বর্তমানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা অবস্থান করছে সিলেটে। আগামী ৩০ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। তবে ৪ তারিখ রয়েছে কোয়াবের নির্বাচন, সেই নির্বাচনে তাদের ভোট দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন থাকছে।
বর্তমান অ্যাডহক কমিটির এক সদস্য বলছিলেন, ‘ক্রিকেটারদের থেকে দিন তারিখ নিয়েই আমরা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করেছিলাম। সুতরাং তাদের ভোট না দেওয়ার কোনো কারণ নেই। ৪ তারিখ সকালে ঢাকার ফ্লাইট ধরবেন ক্রিকেটাররা। দুপুরের মধ্যেই পৌঁছে যাবেন। এরপর বিকেল ৩টা থেকে ৫টার মধ্যে সময়ে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।’
নতুন করে কোয়াবের নির্বাচন করার জন্য যে মেম্বারশিপ দরকার সেটা তারা পূরণ করেননি। ফলে নির্দিষ্ট সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় আসন্ন নির্বাচনে সাকিব-মাশরাফির ভোট দেওয়ার আর সুযোগ থাকছে না।
‘একইসঙ্গে আমরা আরেকটি বিষয় রেখেছি। অনেকে কোয়াবের সদস্য যারা দেশে নেই কিংবা ঢাকায় থাকবেন না তারা অনলাইনে ভোট দিতে পারবেন। বিশেষ করে সে সময় ইংল্যান্ডে থাকবে যুবা ক্রিকেটাররা সেই সঙ্গে ম্যানেজমেন্টের কিছু সদস্য। এ ছাড়া যারা রাজশাহীতে থাকবে এইচপি দলের সদস্য তারাও অনলাইনে ভোট দিতে পারবে।’
অনেকের মনে প্রশ্ন রয়েছে, আসন্ন কোয়াবের নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন কি না সাকিব আল হাসান-মাশরাফি বিন মোর্ত্তজার মতো জ্যেষ্ঠ ক্রিকেটাররা। কোয়াবের নির্বাচন কমিশন থেকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নতুন করে কোয়াবের নির্বাচন করার জন্য যে মেম্বারশিপ নবায়ন করা দরকার সেটা তারা করেননি। ফলে নির্দিষ্ট সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় আসন্ন নির্বাচনে সাকিব-মাশরাফির ভোট দেওয়ার আর সুযোগ থাকছে না।
Discussion about this post