নিজস্ব প্রতিবেদক
মাদক ব্যবসায়ী সজলের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ করেছেন বঙ্গ ইসলামিয়া সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ীরা
জানা যায়, বঙ্গ ইসলামিয়া সুপার মার্কেটে সজলের চাঁদাবাজিতে দীর্ঘদিন ধরে অতিষ্ঠ ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা।
আজ সকালে ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আপন ভাইয়ের ছেলের বিষয়ে এসব অভিযোগ অ্যাডভোকেট সৈয়দা শাহিন আর লাইলী।
অভিযোগ রয়েছে এর আগেও সজল একাধিকবার মার্কেটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের এনে মার্কেটের পরিবেশ অশান্ত করে তুলেছিল । মার্কেটের দোকানদার ইয়াসিনের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা চাঁদা নেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এবং গতকালও একই ঘটনা ঘটিয়েছে সজল।
সংবাদ সম্মেলনে অ্যাডভোকেট সৈয়দা শাহিন আর লাইলী বলেন, এখানে যে সজলের কথা বলা হয়েছে সে আমার বড় ভাইয়ের ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে এই সজলের সাথে আমাদের মার্কেটের দোকানের ভাগ- বাটোয়ারা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এই সজল যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে তখন তাদের সাথে অর্থ ও মাদকের বিনিময়ে সুসম্পর্ক গড়ে তোলে।
তিনি বলেন, সজল একজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে ক্রিস্টাল আইস, ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদকের ব্যবসা করে। যাত্রাবাড়ীতে মাদক ক্রিস্টাল আইসসহ পুলিশের হাতে ধরা খেয়ে জেল খেটেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক সৈকতের সাথে ভালো সম্পর্ক থাকায় অমর একুশে হল ছাত্রলীগ নেতা রাজ, মনন, সোহাগ, আবির, জুনায়েদ, জেহাদ ও দিপুকে দিয়ে চাঁদাবাজি সহ নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিল।
লাইলী বলেন, গত ৩ সেপ্টেম্বর তারিখের ঘটনায় সজল ইউসুফের ওয়াইফাই লাইন কিছু ছাত্র নিয়ে কেটে দেয়। ইউসুফ দুজন লোক পাঠায় সজলকে এই ঘটনা জানানোর জন্য। কিন্তু সজল তার রুমে থাকা ছাত্রদের নিয়ে সেই দুই লোককে মেরে অজ্ঞান করে ফেলে এবং তাদেরকে রুমে তালা মেরে রাখে। ইউসুফ জিজ্ঞেস করতে গেলে তারা ইউসুফকে মারতে শুরু করে। এমন সময় মার্কেটে লোকজন এসে ইউসুফ ও তার দুই কর্মচারীকে উদ্ধার করে কিন্তু এই বিষয়ে আমার বোন সাবেক কাউন্সিলর চামেলী, তার স্বামীর এবং আমার ছোট ভাই স্বপনের কথা বলা হয়েছে, অথচ ঘটনাস্থলে তারা কেউ উপস্থিত ছিলেন না ।
সংবাদ সম্মেলনে অ্যাডভোকেট সৈয়দা শাহিন আর লাইলী আরো বলেন, বঙ্গ ইসলামিয়া সুপার মার্কেটের মালিক ছিলেন আমার মা-বাবা। আমরা ছয় জন ভাই বোন। বড় ভাই শামসুল ইসলাম লাভলুর ছেলে সজল। দীর্ঘদিন ধরে সজল ও তার বাবা আমাদের বাবা মারা যাওয়ার পর এককভাবে সম্পত্তির দখল করতে আসছিল। সজল ও তার বাবা মাদকাসক্ত । তারা প্রায়শই আমার মা সৈয়দা মমতাজ ইসলামকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো। আমরা বাঁধা দিলে আমাদের উপর অত্যাচার নেমে আসতো এবং বন্দুক দিয়ে আমাদেরকে মারতে উদ্ভূত হতো।
সংবাদ সম্মেলনে অ্যাডভোকেট সৈয়দা শাহিন আর লাইলী আরো বলেন, আপনারা যদি কেউ সরেজমিনে মার্কেটে যান তাহলে দেখতে পাবেন, আমাদের পাঁচ ভাই বোনের যে সম্পদ পেয়েছি তার থেকে দুই ডাবল সজল এবং তার বাবা অন্যায় করে দখলে রেখেছে।
এর আগেও সজল একাধিকবার মার্কেটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের এনে মার্কেটের পরিবেশ অশান্ত করে তুলেছিল । মার্কেটে দোকানদার ইয়াসিনের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা চাঁদা নেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এবং গতকালও (৩ সেপ্টেম্বর) একই ঘটনা ঘটিয়েছে।
মার্কেটের অশান্ত পরিবেশ তৈরীর অভিযোগে সজলদের প্রতিহত করতে গেলে সজল এবং তার ঘনিষ্ঠ ছাত্রদের দিয়ে গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাজু ভাস্কর্যের সামনে সাবেক কাউন্সিলর আমার ছোট বোন চামেলী এবং স্বপনকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতারের আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। কিন্তু স্বাধীন এই নতুন দেশে আমরা কোন অসমতা চাই না, আমরা চাই এই ঘটনার সুষ্ঠ সমাধান হোক।
Discussion about this post