ডেস্ক নিউজ
অল্প সময়ের মধ্যেই পূর্ণিমার চাঁদে লাগতে যাচ্ছে গ্রহণ। পূর্ণগ্রাস এ চন্দ্রগ্রহণে রক্তলাল হয়ে উঠবে চাঁদ। সেইসঙ্গে রক্তিম চাঁদের পাশে স্পষ্ট হয়ে উঠবে উজ্জ্বল দুই গ্রহ।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে ৯টা ২৭ মিনিটে অবতারণা ঘটতে যাচ্ছে মহাজাগতিক বিরল এই দৃশ্যের, যা স্থায়ী হবে পরদিন ৮ সেপ্টেম্বর ভোর পর্যন্ত।
জানা গেছে, গ্রহণটি ৭ ঘণ্টা ২৭ মিনিট স্থায়ী হবে বাংলাদেশে। গ্রহণের পূর্ণ পর্যায়ে রক্তিম আভায় ঢাকা থাকবে চাঁদ। রাত ১১টা ৩০ মিনিটে শুরু হয়ে পূর্ণগ্রাস গ্রহণটি চলবে রাত ১২টা ৫২ মিনিট পর্যন্ত। দীর্ঘ ৮২ মিনিট বিশ্ববাসী রাতের আকাশে উপভোগ করতে পারবে ব্লাড মুনের মহাজাগতিক দৃশ্য। শুধু তাই নয়, রক্তিম চাঁদের সাথে দেখার সুযোগ হবে উজ্জ্বল ২ গ্রহকেও।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে বিরল এ দৃশ্য সরাসরি উপভোগ করা যাবে বলে জানা গেছে। তবে, সবচেয়ে ভালোভাবে এ দৃশ্য উপভোগ করা যাবে পূর্বে ইন্দোনেশিয়ার হিলা দ্বীপ থেকে শুরু করে পশ্চিমে কেনিয়ার মোম্বাসা বন্দর পর্যন্ত অঞ্চলে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এবিপি লাইভের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দীর্ঘ ৮২ মিনিট সময়কালে রক্তিম চাঁদের গা ঘেঁষে উজ্জ্বল হলুদ একটি বিন্দু দেখতে পাওয়া যাবে। এই হলুদ বিন্দুটিই হলো আমাদের সৌরজগতের শনি গ্রহ। টেলিস্কোপের সাহায্যে শনি গ্রহের বলয়ও স্পষ্ট দেখা যাবে।
এছাড়া, রক্তিম চাঁদের পাশে হালকা নীল ও সবুজ মেশানো একটি বিন্দুও দেখার সুযোগ ঘটবে। এই নীল ও সবুজ মেশানো উজ্জ্বল বিন্দুই হলো আমাদের সৌরজগতের গ্রহ নেপচুন।
রাতের আকাশে পূর্ণিমা, পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ, ব্লাড মুন বা রক্তিম চাঁদ, ২ গ্রহ-শনি ও নেপচুন একসঙ্গে দেখতে পারাটা বিরল ঘটনা। কারণ, পৃথিবীতে এমন মহাজাগতিক দৃশ্য সচরাচর ঘটে না। তাই দুর্লভ এ দৃশ্য দেখার অপেক্ষায় পুরো বিশ্ববাসী। আর সরাসরি এই দৃশ্য চোখে দেখার সুযোগ ঘটবে বিশ্বের প্রায় ৬০০ কোটি মানুষের। মেঘমুক্ত আকাশে মহাজাগতিক দৃশ্য স্পষ্ট দেখতে বাইনোকুলার, ছোট টেলিস্কোপ, স্মার্ট ফোন, ক্যামেরা ব্যবহার করতে পারেন।
Discussion about this post