নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলা চলচ্চিত্রের অমর নায়ক সালমান শাহর রহস্যজনক মৃত্যু প্রায় তিন দশক পেরোনোর পর নতুন মোড় নিলো। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর শাহর লাশ উদ্ধার হওয়ার পর প্রথমে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু আদালতের নির্দেশে এবার সেটি হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রায় ২৯ বছর পর হত্যার তদন্তে নেমেছে রমনা থানা পুলিশ। তার অনুসারে, শাহ ২৯ বছর আগে যে ফ্ল্যাটে থাকতেন—রাজধানীর ইস্কাটন প্লাজারের নব্বই দশকের বাসভবন—সেখানে পুলিশ তদন্তে গিয়েছে। ফ্ল্যাটটি নায়কের মৃত্যুর পর সিলগালা করা হয়েছিল। বর্তমানে ফ্ল্যাটের মালিক সেখানে বসবাস করছেন। তদন্তকারীরা ফ্ল্যাটের ভেতরের পরিস্থিতি ঘুরে দেখেছেন।
মামলাটি করেছেন সালমান শাহর মামা আলমগীর কুমকুম। এজাহারে সালমানের স্ত্রী সামিরা হককে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই, লতিফা হক লুসি, চলচ্চিত্রের খলনায়ক ডনসহ মোট ১১ জন এবং আরও কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি। আলমগীর কুমকুম গণমাধ্যম বসবে জানিয়েছেন, ‘সালমান শাহর বাবা একজন ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। তিনি বহুবার চেষ্টা করেছিলেন অপমৃত্যু মামলা হত্যা মামলায় রূপান্তরের। চেষ্টা করতে করতে উনিও দুনিয়া থেকে চলে গেলেন। এখন এতদিন পর এটা হয়েছে। ইনশাআল্লাহ প্রমাণ হবে এটা হত্যা।’
সেলগালা করা ফ্ল্যাট, আদালতের নির্দেশ, নতুন তদন্ত এবং হত্যার মামলা খোলার মধ্য দিয়ে সালমান শাহর অকালমৃত্যুর রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা করছে পুলিশ। দেশের দর্শক ও চলচ্চিত্রপ্রেমীরা এবারও ফলাফলের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন।
Discussion about this post