নিজস্ব প্রতিবেদক
তিতাস গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. হারুনুর রশীদ মোল্লাহর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানিয়েছে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ ফারুক হোসেন এ প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসির (টিজিটিডিপিএলসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হারুনুর রশীদ মোল্লাহর অনুকূলে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের ২৮.০০.০০০০.০২১.২৯.০০১.২১.৩৩১ নম্বর স্মারকে প্রদত্ত চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিল করা হলো।
তিতাস গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে প্রকৌশলী হারুনুর রশীদ মোল্লাহ ২০২১ সালে প্রথম এক বছরের জন্য চুক্তিভিক্তিক নিয়োগ পান। চুক্তির মেয়ার শেষ হলে দ্বিতীয় দফায় আরও এক বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয় তাকে। সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রায় দেড় মাস বাকি থাকতেই জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ তাকে আবারও এক বছরের জন্য নিয়োগ প্রদান করে।
জানা যায়, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) শর্তের কারণে এতদিন চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিতে বাধ্য ছিল সরকার। কিন্তু চলতি বছর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের শর্ত শিথিল করে চুক্তির পাশাপাশি পদোন্নতি দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালে ঢাকা ক্লিন ফুয়েল প্রকল্প নামে একটি প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। ওই প্রকল্পে অর্থায়ন করে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও নরডিক ডেভেলপমেন্ট ফান্ড (এনডিএফ)। প্রকল্পটির সঙ্গে যুক্ত ছিল তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (টিজিটিডিসিএল), গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল) ও রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (আরপিজিসিএল)।
সেই প্রকল্পে এডিবির শর্ত ছিল, কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পরিচালক (অর্থ) ও পরিচালক (অপরেশন) চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিতে হবে। প্রকল্পে অর্থায়ন নিশ্চিত করার জন্য ওই তিনটি কোম্পানিতে তিনটি পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের শর্ত কার্যকর করা হয়। সেই ক্লিন ফুয়েল প্রকল্পের সমাপ্তির পরও কেটে গেছে এক যুগের বেশি সময়। তারপরও অব্যাহত রাখা হয়েছিল চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ধারা।
এদিকে তিতাস গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের শীর্ষ তিন পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের কারণে এক ধরণের অস্বস্তি ও অসন্তোষ ছিল সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে। তাদের দাবি, বাইরে থেকে কর্মকর্তা নিয়োগের কারণে ভেতরের যোগ্য ও সিনিয়র কর্মকর্তারা বঞ্চিত হচ্ছিলেন। এতে কোম্পানির সেবার মানও কমে যাচ্ছিল। আবার বাইরে থেকে যাদের এনে বসানো হয় তারা অনেক সময়ই কোম্পানির স্বার্থ দেখেন না।
Discussion about this post