স্বাস্থ্য ডেস্ক
দিন যত যাচ্ছে বাড়ছে হার্টের অসুখের পরিমাণ। কম বয়সী কিংবা মধ্য বয়সী অনেকেই প্রাণ হারাচ্ছেন এই রোগে। কারো কারো মতে করোনার পর হৃদরোগের পরিমাণ বেড়েছে। তবে চিকিৎসকরা বলছেন এর পেছনে আরও অনেক কারণ রয়েছে।
হার্ট অ্যাটাক বা হার্টের অসুখ বৃদ্ধি পাওয়ার অনেকগুলো কারণ আছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো জীবনযাপনে পরিবর্তন, ভুলভাল খাওয়ার অভ্যাস, মানসিক যন্ত্রণা ইত্যাদি। হার্টের অসুখের জন্য কিছু জেনেটিক বা বংশগত কারণও আছে।
রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল থাকলে হার্টের স্বাস্থ্যেও তার প্রভাব পড়ে। মানুষ দিন দিন ফাস্ট ফুডে আসক্ত হয়ে পড়ছেন। এতে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল আরও বাড়ছে। ফলে হার্টও দুর্বল হয়ে পড়ছে। এর সঙ্গে মানসিক চাপ, অতিরিক্ত ওজন, ডায়াবেটিস তো রয়েছেই।
সাধারণত হার্টের অসুখ থাকলে বুকে অসহ্য ব্যথা অনুভূত হয়। সেসঙ্গে যুক্ত হয় ঘাম ও শরীর খারাপ লাগা। ক্রমাগত শরীর খারাপ করতে থাকলে দেখা দিতে পারে হার্টের অসুখ। হার্টের করোনারি আর্টারি বা ধমনী ব্লকেজ থাকলে মানুষের শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয়। অনেকসময় এই সমস্যাগুলো নিঃশব্দে দানা বাঁধে।
হার্ট অ্যাটাকের বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। কারো পরিবারে যদি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস বা হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস থাকে, সেক্ষেত্রে ৩০ বা ৩৫ বছরের পর থেকেই বছরে এক বার করে হার্টের পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া ভালো।
নিয়মিত ইসিজি, ব্লাড সুগার এবং ব্লাড প্রেসার পরীক্ষা করাতে হবে। দিনে অন্তত এক মাইল হাঁটার অভ্যাস করতে হবে। ধূমপানের অভ্যাস থাকলে তা ছাড়তে হবে। বন্ধ করতে হবে মদ্যপান। নিয়মিত রক্তের সিরাম, লিপিড পরীক্ষা করাতে হবে। কম বয়সে বাইপাস সার্জারি হয়ে থাকলে, দশ পনেরো বছর পরে আবার পরীক্ষা করানো দরকার। কেননা, বাইপাস করলেও হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা থেকেই যায়।
Discussion about this post