নিজস্ব প্রতিবেদক
টানা পাঁচ ঘণ্টা চেষ্টার পর গতকাল রাত ১০টায় রাজধানীর কড়াইল বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার ১২ ঘণ্টা পরও ধ্বংসস্তূপের বিশাল এলাকা থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। সেই সঙ্গে প্রায় দেড় হাজার ঘরের ছাই ও পোড়া টিনের স্তূপের মধ্যে শেষ সম্বলটুকুও খুঁজে বের করার জন্য ভিড় করছেন হাজারো মানুষ।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) সকালে সরেজমিনে কড়াইল বস্তি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বস্তির বিশাল একটি অংশ এখন পোড়া কাঠ, টিন ও ছাইয়ের বিশাল স্তূপ। আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে এলেও সেই স্তূপের বিভিন্ন স্থান থেকে এখনও ধোঁয়া বের হচ্ছে। পোড়া ধ্বংসস্তূপের চারপাশে ভিড় করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেই ছাইয়ের ভেতরে নিজেদের শেষ সম্বলটুকু খোঁজার মরিয়া চেষ্টা করছেন। আবার অনেকই পোড়া মালামালের মধ্যে হাতড়ে বেড়াচ্ছেন অবশিষ্ট কোনো মূল্যবান জিনিস।আব্দুল হান্নান নামে এক ব্যক্তি বলেন, আমার কাপড়-চোপড় সব পুড়ছে, এখন এই ভিজে যাওয়া কম্বলই ভরসা। খুঁজে দেখছি কিছু পাওয়া যায় কি না।
অন্যদিকে, কড়াইল বস্তির আশপাশের প্রবেশ মুখগুলোতে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের। বেলা পৌনে ১১টার দিকে অগ্নিকাণ্ডস্থল পরিদর্শন করেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন্স) এস এন নজরুল ইসলাম।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে বস্তির বৌবাজারের একটি ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় এবং শুকনো মৌসুমের কারণে আগুন দ্রুত শতাধিক ঘরে ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের মোট ১৯টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও, সরু পথ ও পানির অভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে মারাত্মক বেগ পেতে হয়। এলাকার লেক থেকে পাইপ টেনে এনে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা চেষ্টার পর রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসে।










Discussion about this post