নিজস্ব প্রতিবেদক
“হাসিনা – খালেদা বা ইউনুস সরকার যেই থাক না কেন বিটিভি আমার” এমন দাম্ভিকতা নিয়ে কথা বলতেই পছন্দ করেন বিটিভির নির্বাহী প্রযোজক ও বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ সংযুক্ত শামসুল আলম।
আওয়ামীলীগ আমলে অফিসার্স ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সচিব মেজবাহ উদ্দিনের পৃষ্ঠপোষকতায় বিটিভি ছিল তার নিয়ন্ত্রণে। আর এখন বিটিভির হয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সংযুক্ত হওয়ায় কারণে প্রেস সচিব শফিকুল আলমের নাম ব্যবহার করে মন্ত্রণালয় ও বিটিভিতে চলছে তার রাজত্ব।
প্রেস সচিবকে বন্ধু পরিচয় দিয়ে ভাগিয়ে নিয়েছেন বিটিভির একাধারে নির্বাহী প্রযোজক (বার্তা), নিয়ম বহির্ভুতভাবে প্রোগ্রাম ম্যানেজার ও প্রতিবেদক হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সংযুক্তি।
আদৌ কি প্রেস সচিব জানেন কিভাবে প্রেস উইং এ যুক্ত হলো এই শামসুল আলম ? যিনি ছিলেন জুলাই ছাত্র -জনতা হত্যায় সেসময় আওয়ামীলীগের আস্থাভাজন হয়ে গঠিত কমিটির প্রধান ।

অনুসন্ধানে জানা যায় , তৎকালীন ডিজি জাহাঙ্গীর আলম ও ডিডিজি তাসমিনা আহমেদ নিজেদের রক্ষা করতে এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ম্যানেজ করতে তড়িঘড়ি করে শামসুল আলমের নাম পাঠায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ। যার ইতিপূর্বে রিপোর্টিং করার কোন অভিজ্ঞতা ছিল না। ছিলেন ডেস্কে।
তবে সুযোগসন্ধানী শামসুল আলম খুব সহজেই সবকিছু ম্যানেজে সক্ষম যার প্রমান মেলে তার কথায় নাকি এখন চলছে প্রেস উইং এর কর্মকর্তারা ?
বিটিভির টক -শোতে গেস্ট বানিয়ে সবাইকে ম্যানেজ করার দাম্ভিকতা এখন শামসুল আলমের। বর্তমান জিএম নুরুল আজম পবনকেও ব্ল্যাকমেইলিং করছে এই শামসুল। তার কথা বলে বিটিভির বার্তা বিভাগ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলছেন তিনি। শুধু তাই নয় বিটিভির স্বায়ত্তশাসনের বিরুদ্ধে মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন এই সরকারি কর্মচারী।
এখন আবার জুলাই গণহত্যায় জড়িত এই শামসুল আলম প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের নাম ভাঙিয়ে গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট তার পক্ষে নিয়ে বিটিভির বার্তা সম্পাদক হওয়ার পাঁয়তারা করছেন। তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা -সচিবকেও নাকি প্রেস সচিবের রেফারেন্সে ম্যানেজ করেছেন তিনি।
২০২৪ এর ৭ জুলাই বিটিভি কর্তৃপক্ষ ছাত্রদের আন্দোলন দমনে এবং সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী এ আরাফাতের নির্দেশে মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা যে সংবাদ প্রচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেখানে শামসুল আলমকে প্রধান করে ৭ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। যার স্মারক নম্বর -১৫.৫৪.৩০২৫।০২৫.১৮.০০২.২২.১৫৭। দুঃখের বিষয় হলেও সত্যি ছাত্র হত্যার নেতৃত্বদানকারী শামসুল আলম এখন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সদস্য।
বিটিভি থেকে শামসুল ইসলামের মনোনয়ন হিসেবে বলা হয় বর্তমান প্রেস সচিবের চাহিদা ? সত্যি কি তাই ? আদৌ কি জানতেন তার সম্পর্কে বর্তমান প্রেস সচিব জুলাইযোদ্ধা শফিকুল আলম? শামসুল আলমের বন্ধুরা কেউ পলাতক আবার কেউ স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে দূরে থাকলেও কোন শক্তির বলে তিনি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ ?
একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে ঢাকার আফতাবনগর এলাকায় নিজস্ব ফ্ল্যাট, মোহাম্মদপুরে আলিশান বাসায় কিভাবে থাকেন শামসুল আলম তাও এখন প্রশ্ন ? শেখ হাসিনার সাবেক উপ প্রেস সচিব সাখওয়াত মুনের সাথে শামসুল আলমের বন্ধুত্বের কথা মিডিয়ার সবাই জানলেও সেই শামসুল বর্তমান প্রেস উইং এ কিভাবে যুক্ত থাকেন তা অনেকের কাছেই প্রশ্ন ?










Discussion about this post